মোঃ আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,,
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা এলাকাধীন উক্তগ্রাম, ভুলদিয়া ও কিরোন গাছি এলাকা থেকে বিগত মাসে অর্থাৎ ১৭ জুলাই ২১’ এবং ২৬ শে জুলাই ২১’মাসে সন্ধ্যার সময় একদল দুষ্কৃতকারী পুলিশ পরিচয়ে সন্ধ্যা বেলায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা শিশু/কিশোরদের হাতে থাকা মোবাইলে গেমস খেলার সময় মোবাইল গুলো কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে অভিভাবকদের স্থানীয় থানা/ ক্যাম্পে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশনা দেয়। অভিভাবকগণ থানা/ক্যাম্পে যোগাযোগ করে জানতে পারে তারা পুলিশ ছিল না। মূলতঃ পুলিশ পরিচয় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ক্রমাগত এই ঘটনা ঘটার ফলে এলাকায় একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো এবং এলাকার সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য “ভুয়া পুলিশ থেকে সাবধান” শিরোনামে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মান্যবর সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মহোদয়ের নজরে আসলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশের ইমেজ রক্ষার্থে পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনার আলোকে ওসি, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর ( অপস) জনাব একরামুল হোসেন, এসআই শামীম হাসান এবং এসআই হাসানুজ্জামান সহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে আজ গভীর রাতে ঝিনাইদহ, মহেশপুর ও কালিগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া পুলিশ সেজে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুজন ব্যক্তিকে এবং এই ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি খেলনা পিস্তল সহ গ্রেফতার করা হয় এবং আটককৃত আসামিদের দখল ও নিয়ন্ত্রণ থাকে উল্লেখিত তিনটি ঘটনায় ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ৬ টি উদ্ধার করা হয়।
এই সফলতা শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বা চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সফলতা নয় বরং এই সফলতা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ক্রাইম ডিটেকশনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে ধারাবাহিক সফলতার কারণে এ প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের নিকট আস্থার একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
Leave a Reply