৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপারের নির্দেশে ভুয়া পুলিশ গ্রেফতার:২।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,,

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা এলাকাধীন উক্তগ্রাম, ভুলদিয়া ও কিরোন গাছি এলাকা থেকে বিগত মাসে অর্থাৎ ১৭ জুলাই ২১’ এবং ২৬ শে জুলাই ২১’মাসে সন্ধ্যার সময় একদল দুষ্কৃতকারী পুলিশ পরিচয়ে সন্ধ্যা বেলায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকা শিশু/কিশোরদের হাতে থাকা মোবাইলে গেমস খেলার সময় মোবাইল গুলো কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে অভিভাবকদের স্থানীয় থানা/ ক্যাম্পে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশনা দেয়। অভিভাবকগণ থানা/ক্যাম্পে যোগাযোগ করে জানতে পারে তারা পুলিশ ছিল না। মূলতঃ পুলিশ পরিচয় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ক্রমাগত এই ঘটনা ঘটার ফলে এলাকায় একটি বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো এবং এলাকার সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য “ভুয়া পুলিশ থেকে সাবধান” শিরোনামে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

 

বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মান্যবর সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম মহোদয়ের নজরে আসলে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশের ইমেজ রক্ষার্থে পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনার আলোকে ওসি, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নেতৃত্বে ইন্সপেক্টর ( অপস) জনাব একরামুল হোসেন, এসআই শামীম হাসান এবং এসআই হাসানুজ্জামান সহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে আজ গভীর রাতে ঝিনাইদহ, মহেশপুর ও কালিগঞ্জ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া পুলিশ সেজে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুজন ব্যক্তিকে এবং এই ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি খেলনা পিস্তল সহ গ্রেফতার করা হয় এবং আটককৃত আসামিদের দখল ও নিয়ন্ত্রণ থাকে উল্লেখিত তিনটি ঘটনায় ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ৬ টি উদ্ধার করা হয়।

 

এই সফলতা শুধুমাত্র চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বা চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সফলতা নয় বরং এই সফলতা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর। চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ক্রাইম ডিটেকশনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে ধারাবাহিক সফলতার কারণে এ প্রতিষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের নিকট আস্থার একটি প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।