গত ৭ আগস্ট বিকালে সময় স্থানীয় চাঁদপুর গ্রামের কিছু দুষ্কৃতিকারী শিয়ালী বাজারে একত্রিত হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা চালিয়ে তাদের মন্দির, মূর্তি, দোকানপাট ও বাড়ীঘর ভাংচুর করে। এই ঘটনায় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাদী হয়ে খুলনা জেলার রূপসা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব অভিযানে নেমেছে। এরই ধারবাহিকতায় বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত মোঃ রসুল শেখ (৩৫), মোঃ কামাল সিকদার ওরফে লিয়ন সিকদার (৩১), মোঃ আরিফুল সিকদার ওরফে কালু (৩০) কে গ্রেফতার করে। তাদের সবাইকে শিয়ালী গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার সকালে র্যাব-৬ খুলনার সদর দফতরে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সহকারী পরিচালক (লিগ্যাল ও মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মোঃ বজলুর রশীদ। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়াও তারা ওই ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রেসব্রিফিংয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে তিনি বলেন, রূপসায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি দেশী বিদেশী বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ন্যাক্কারজনক ভাবে উপস্থাপন করেছে। যার মাধ্যমে আমাদের দেশের উজ্জল ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। বাংলাদেশ শান্তি ও সম্প্রীতির একটি দেশ। এদেশে মুসলিম হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের লোকেরা শান্তি ও সৌহার্দ্যরে সাথে বসবাস করে আসছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, একটি কুচক্রীমহল শান্তি ও সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করার প্রয়াসে স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমন চালিয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটায়। প্রকৃতপক্ষে কোন ধর্মপ্রাণ মানুষ অন্য ধর্মের উপাসনালয়ে ক্ষয়ক্ষতি করাকে সমর্থন করে না। এমনকি ধর্মের বিধানেও তা নিষেধ করা আছে।
Leave a Reply