১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

কেশবপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে বেড়েছে বাল্য বিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আজিজুর রহমান,কেশবপুর (যশোর)প্রতিনিধি:

করোনাকালে প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কেশবপুরে বেড়েছে বাল্য বিয়ে। অনেক দরিদ্র পরিবারের ছাত্রীরা বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ছাত্রীদের বাল্য বিয়ে বন্ধ করে ওইসব অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিলেও থামানো যাচ্ছে না।
সোমবার দুপুরেও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কেশবপুরে এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এমনকি সম্প্রতি এক ব্যক্তি তার ভাগ্নিকে বাল্য বিয়ে পড়ানোর বিষয়ে এক কাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ওই ব্যক্তিকে মারধর করেছেন।ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বরণডালী গ্রামের এক ব্যক্তি তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের (১৫) বাল্য বিয়ের আয়োজন করে। বিষয়টি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে হাজির হন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মেয়ের বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবে না মর্মে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৩ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলার হাড়িয়াঘোপ এলাকার এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে তার বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেন। একই সাথে বাল্যবিয়ে করতে আসার দায়ে বরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এদিকে, গত ২৭ জুলাই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে পড়ানোর কথা জিজ্ঞাসা করায় তালেব গাজী নামে এক কাজী ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়ের মামা উপজেলার বেতিখোলা গ্রামের আব্দুল হামিদকে মারপিট করে। এ ঘটনায় তিনি কেশবপুর থানা ও নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৭২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৫২টি মাদ্রাসা ও ১১টি কলেজ রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৮ হাজার ২৮৮ জন, মাদ্রাসায় ৭ হাজার ৫৮৭ জন ও কলেজে ৪ হাজার ৭৪৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে করোনার কারণে ২০২০ সালের বছরের ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের মতো এ উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।কেশবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ব্যাপকহারে বাল্য বিয়ে বেড়েছে। এখন যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়, অনেক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে ছাত্রী পাওয়া যাবে না। আমার স্কুলের কয়েকজন ছাত্রীও বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে। যেটা পরে জানতে পেরেছি।’ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিলে বাল্য বিয়ের প্রবণতা কমে যাবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।