৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

ওসমানী হাসপাতালে চারশ শয্যার করোনা ইউনিট ‘শিগগিরই’

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ওসমানী হাসপাতালে চারশ শয্যার করোনা ইউনিট ‘শিগগিরই’

এম এ রশীদ সিলেট থেকেঃচারশ শয্যার করোনা ইউনিট চালুর জন্য প্রায় আট মাস আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর কয়েক দফায় মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে তাগিদ। কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। চিঠি দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু এখন অবধি ওই করোনা ইউনিট চালুর বিষয়ে অনুমতি মেলেনি, পাওয়া যায়নি কোনো বরাদ্দ। অথচ প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষায় ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজন শুধু অনুমতি আর ৩ কোটি টাকার মতো বরাদ্দ।

তবে ‘খুব শিগগিরই’ এই ইউনিট চালু করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, সিলেটে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় সাড়ে আটশ শয্যা আছে করোনাক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। সবমিলিয়ে আইসিইউ শয্যা আছে ১৩৭টি। তন্মধ্যে ডা. শামসুদ্দিন হাসপাতালে ১৬টি, ওসমানী হাসপাতালে ১৮টি এবং মৌলভীবাজার হাসপাতালে ৬টি শয্যা রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় আইসিইউ রয়েছে ৯৭টি। বর্তমানে এসব আইসিইউর প্রতিটিতে রোগী ভর্তি রয়েছেন। সাধারণ শয্যাগুলোও খালি নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ চলছে সিলেটে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ হাসপাতালে ঘুরছেন, কিন্তু সিট (শয্যা) খালি না থাকায় তারা ভর্তি হতে পারছেন না। অনেকেই হাসপাতালে আইসিইউ না পেয়ে মারা যাচ্ছেন। এই কঠিন অবস্থায় ওসমানীর চারশ শয্যার ইউনিট চালু থাকলে করোনাক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা অনেকটাই সহজ হতো।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে, এমন চিন্তায় প্রায় আট মাস আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা পাঠায় ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে চারশ শয্যার একটি করোনা ইউনিট চালুর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চাওয়া হয়। হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় এই ইউনিট চালু করতে চায় কর্তৃপক্ষ।

সেই প্রস্তাবে সাড়া না পেয়ে গেল এপ্রিলে ফের প্রস্তাব পাঠানো হয়। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সর্বশেষ ঈদুল আযহার আগে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও। চিঠিতে বলা হয়, ‘সিলেটে যে হারে সংক্রমণ বেড়েছে তাতে ওসমানীর প্রস্তাবিত করোনা ইউনিট দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। অক্সিজেন লাইন দ্রুত স্থাপন করে এটি চালু করলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আর যদি সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপনে দেরি হয় কিংবা অপরাগতা প্রকাশ করা হয় তাহলে সিলেট সিটি কর্পোরেশন অনুমতি পেলে নিজস্ব খরচে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করে দেবে।’

কিন্তু কাজ হচ্ছে না কিছুতেই। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তহীনতায় আটকে আছে ওসমানী হাসপাতালের করোনা ইউনিট।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা ইউনিট চালু করতে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন বাকি। এজন্য বরাদ্দ প্রয়োজন ৩ কোটি টাকা। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউনিট চালুর বিষয়ে কিছুই বলছে না।

জানতে চাইলে সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত প্রতিবেদককে বলেন, ‘ওসমানী হাসপাতালে চারশ শয্যার করোনা ইউনিট চালুর বিষয়ে এখনও ঢাকা থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি, বরাদ্দ মেলেনি।’

সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় প্রতিবেদককে বলেন, ‘এই করোনা ইউনিট চালুর বিষয়ে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। দু-চারদিনের মধ্যে একটা সিদ্ধান্ত পাওয়ার আশায় আছি। খুব শিগগিরই এই ইউনিট চালু হবে বলে আমরা আশাবাদী।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।