২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

এমপি আফিল উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পুনরায় আমদানী রপ্তানি চালু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: টানা ৩৪ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের হস্তক্ষেপে বুধবার বিকেল ৫টা থেকে পুনরায় চালু হয়েছে। সমস্যা সমাধানে বুধবার দুপুরে বেনাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশন ভবনে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের সাথে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে ড্রাইভারদের কাছ থেকে বকশিষের নামে অতিরিক্ত টাকা না নেয়ার সিদ্ধান্ত হলে বিকাল ৫টার দিকে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় চালু হয়। আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় বন্দরে কর্মচাজ্ঞল্য ফিরে এসেছে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর-১ (শার্শা) আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শামছুর রহমান ও বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী, ট্রান্সপোর্ট মালিক এসোসিয়েশন, ট্রাক চালক নেতৃবৃন্দসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বেনাপোল কাষ্টম হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা জানান, দু‘দেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে সমঝোতা বৈঠকের পর বিকালে আমদানি-রপ্তানি চালু হয়েছে।

উল্লেখ্য ভারত থেকে রপ্তানি পণ্য নিয়ে কোন ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করলে বেনাপোল বন্দরে নানা পয়েন্টে বকশিষের নামে মোটা অংকের টাকা গুনতে হতো। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ভারতের ব্যবসায়ীসহ ট্রাক শ্রমিকরা দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় উভয় বন্দর এলাকায় আটকা পড়ে শত শত পণ্য বোঝাই ট্রাক। যার অধিকাংশই বাংলাদেশের রপ্তানিমুখি গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল ও পচনশীল পণ্য।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।