৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

আধুনিক কৃষিব্যবস্থার কারণে দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশী প্রজাতির ধান।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শেখ আবদুল্লাহ আনোয়ারা,প্রতিনিধি ।

 

এ দেশে এক সময় হাজার হাজার রকম দেশি ধান জাতের আবাদ করা হতো। গত শতাব্দীর পাঁচ বা ছয়ের দশকেও এ দেশে এদের সংখ্যা ছিল বেশ কয়েক হাজার। এখন থেকে আশি বছর আগে বিশিষ্ট ধান বিজ্ঞানী ড. পি হেক্টর এ দেশে বিভিন্ন মৌসুমে আবাদী ধানের স্থানীয় জাতের সংখ্যা ১৮,০০০ বলে উল্লেখ করেছেন।

আধুনিক কৃষিব্যবস্থার কারণে দিনকে দিন হারিয়ে যাচ্ছে দেশী প্রজাতির ধান। হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীলের (উফশী) সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে আনোয়ারায় চাষাবাদ থেকে প্রায় বিলুপ্তির পথে ৪০ প্রজাতির মত দেশীয় ধান।

কৃষি অধিদপ্তরের সূত্রে মতে, ২০১০ এর পূর্বে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় প্রায় ৭০ প্রজাতির স্থানীয় ধানের চাষ হতো, সেখানে এখন হয় মাত্র ২০-২৫ প্রজাতির ধান।

 

খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, ফসলি জমি ভরাট এবং কলকারখানার ফলে কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাওয়া, জমির উর্বরতা হ্রাসের কারণে কৃষক এখন চান্দিনা, মালা, ব্রিশাইল, ব্রি বালাম, আশা, সুফলা, প্রগতি, মুক্তা, ময়না, এই ধরণের দেশীয় বীজের পরিবর্তে হাইব্রিড কিংবা উফশী জাতের ধান আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। কারণ স্থানীয় জাতের ধানের তুলনায় হাইব্রিডের উৎপাদন অনেক বেশি।

 

কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন, নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন প্রজাতির ধান বাজারে আসতেছে। ফলে কৃষকরা আগের দেশীয় ধান থেকে মুখ ফিরিয়ে নতুন ধানের দিকে ধাবিত হচ্ছে। কারণ কোনো একটা জমিতে একনাগারে ৪-৫ বছর একই ধানের চাষ করা হলে এর পরবর্তীতে গিয়ে জমিটাতে ফলন কমে আসে। যার কারণে কৃষকরা এক জমিতে একই বীজ বার বার রোপন না করে বরং ২-৩ বছর পর পর অধিক ফলনের আশায় বীজ পরিবর্তন করে ফেলে। আর তাছাড়াও আগের দেশীয় ধানে কানি প্রতি পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ টন অর্থাৎ ৮০-৯০ আড়ি ধান হতো পক্ষান্তরে এখন হাইব্রিড ধানের বীজ রোপন করলে কানি প্রতি ছয় থেকে সাড়ে ছয় টন অর্থাৎ, ১০০-১২০ আড়ি ধান পাওয়া যায়। যা দেশীয় বীজের তুলনায় অনেক বেশি।

 

এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, উচ্চ ফলনশীল, উন্নত মানের বিভিন্ন ধানের বীজ বাজারে আসতেছে। যেসব বীজে দেশীয় বীজের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেশি ফলন পাওয়া যায়। কৃষকরা তাদের খরচ পুষিয়ে অধিক ফলনের আশায় দেশীয় বীজ পরিহার করে উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিডের প্রতি ঝুঁকছে। আর এসব দেশীয় বীজ যাতে একেবারেই হারিয়ে না যায় সেজন্য এসমস্ত বীজগুলো সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।