[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

অবেশেষে বেনাপোলে ইমিগ্রেশনে করোনা পরীক্ষায় থার্মাল স্কানার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ অবশেষে বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশনের করোনা সহ অন্যান্য ভাইরাস সনাক্তের জন্য বসানো হয়েছে থার্মাল স্কানার। দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর এবং আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট বেনাপোল দিয়ে দেশী বিদেশী পর্যটকদের যাতায়াত থাকে প্রতিদিনি কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ হাজার । এছাড়াও পাসপোর্ট বাদে ও এ পথ দিয়ে আসে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপাররা।

বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় করোনা ভাইরাস নিয়ে বেনাপোলে কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় থার্মালা স্কানার বসিয়েছে। যে স্কানারটি ভারত থেকে ফিরে আসার আগমনী ইমিগ্রেশন শাখায় বসিয়েছে।
বেনাপোাল ইমিগ্রেশন মেডিকেল টিমের ইনচার্জ হাসানুজ্জামান বলেন, স্কানারটি অত্যান্ত আধুনিক। এটা বাইরে থেকে প্রতিটি যাত্রীর তাপমাত্রা অটোমেটিক নির্নয় করতে পারে। এছ্ড়াা যার তাপমাত্রা যত বেশী সেখানে তার শরীরের উপ হাই লেখা দেখায় এই স্কানারটি।
বুধাবার সকাল ১০ টার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন এর আগমনী শাখায় দেখা গেছে নতুন এই মেশিনটিতে সকল যাত্রীদের তাপমাত্রা অটোমেটিক নির্নয় করছে। এসময় ইনচার্জ হাসানুজ্জামান বলেন, এই মেশিন বাংলাদেশে মাত্র তিনটি স্থাপন করা হয়েছে। একটি চট্রাগ্রাম একটি শাহাজালাল বিমানবন্দরে এবং একটি বেনাপোল ইমিগ্রেশনে। তিনি আরো বলেন যার তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির উপর তাকে আমরা আমাদের এমবি বিএস ডাক্তার আজিম উদ্দিন এর নিকট নিয়ে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
গতকাল চেকপোষ্টে ট্রাক চালকদের পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য কোন স্বাস্থ্য কমী না থাকায় সংবাদ প্রকাশের পর আজ সেখানে স্বাস্থ্য কর্মীদের পরীক্ষার জন্য বসানো হয়েছে।

উল্লেখ্য দেশের এই বৃহত্তম স্থল বন্দরে প্রতিদিন আমদানি পন্য নিয়ে ভারত থেকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ শত ট্রাক আসে। আর তার সাথে একজন চালক সহ দুই জন হেলপার থাকে। এরাও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পন্য নিয়ে এই বন্দরে প্রবশ করে।  এছাড়া সরাসরি ঢাকা কোলকাতা কয়েকটি পরিবহনও চলে এই পথে। এছাড়া বন্ধন এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন ও পন্যবাহি ওয়াগান ট্রেনও আসে ভারত থেকে। তাই সচেতন মহল এসব গাড়ির চালকদের এবং যাত্রীদের পরীক্ষার ব্যাপারে জোর দাবি করেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *