[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ফুফু-ফুফার বিরুদ্ধে ফলন্ত পেয়ারা গাছ কাটার অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ

জমি ফিরে পেতে ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফুপা-ফুপির বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের বহরামপুর কানাপুকুর মাঠে। ওই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভাইপো আব্দুল্লা।
ভুক্তভোগী পেয়ারা চাষি আব্দুল্লা বলেন,রাহেন জোয়াদ্দার আমার ফুপা আর মোছাঃ হালিমা বেগম আমার ফুপি হয়। গেল কয়েক বছর আগে পেয়ারা চাষের জন্য তাদের কাছ থেকে আমি জমি লিজ নিয়ে ছিলাম। তারপর থেকে আম চাষ করে আসছি ওই জমিটি। আর প্রতি বছর তাদের লিজের টাকাও দিয়ে আসছি।
এরপর গেল দুই বছর আগে ওই জমিতে আমি পেয়ারার চাষ করেছি। ওই চাষ করতে আজ পর্যন্ত আমার দুই লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ৫০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করতে পেরেছি।
এরমধ্যে গেল ০২/০৮/২০২৫ ইং তারে তারা আমাকে জমি ছাড়িয়া দিতে বলেন।
আমি জমি ছাড়তে না চাওয়ায়,তারা ফলন্ত পেয়ারা গাছ রাতের আধারে কেটে দিয়েছেন। যাতে করে আমার প্রায় লক্ষ্যাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
তিনি বলেন,এ ছাড়া জমি লিজ নেওয়ার সময়, তাদের ওই জমির কাগজ পত্রে ক্রটি ছিল। যা আমি আমার টাকা খরচ করে ঠিক করেছি।
তিনি আরো বলেন, তারা ওই সময় আমাকে বলেছিল কাগজপত্র ঠিক করে চাষ করে ক্ষেতে। তারপর আমি তাদের প্রতি বছর জমির লিজের টাকা দিয়ে আসছি। আজ তারা জমি ফেরত পেতে আমার ফলন্ত গাছ কেটে দিয়েছেন। আমি তাদের বিচার চাই। আর সাথে সাথে আমার ফলন্ত পেয়ারা গাছ কেটে দেওয়ার ক্ষতি পুরনও দাবি করছি।
তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ফুপা রাহেন জোয়াদ্দার বলেন, আব্দুল্লাহ আমার কুটুমের ছেলে। সে আমার একটা জমি চাষ করে খায়। জমিটি ফেরত চাওয়াতে সে আমার সঙ্গে খারাপ আচারন করছেন। তবে আমার বিরুদ্ধে থানায় যে,অভিযোগ করেছেন, এটা মিথ্যা। কারন আমার বাড়ি বিদ্যাধরপুর গ্রামে। আমি কিভাবে পেয়ারা গাছ কাটবো। আর কেন কাটবো।
কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এস আই) আমিনুর রহমান বলেন,পেয়ারা গাছ কাটা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আব্দুল্লা নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন। তদন্তের জন্য এখনও কাউকে দেয়া হয়নি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *