নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি :
খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ওই ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্য গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। ইউপি সদস্য তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছন মহেশ্বরীপুর ভূমি অফিসে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির স্বীকার জমির মালিকগন।
তবে ওই ইউপি সদস্য ভূমি অফিসের তহশিলদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ বলে জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত তহশিলদারের নাম মোঃ আবু বকর সিদ্দিক। আর ফেসবুকে পোস্ট করা ইউপি সদস্যের নাম মনিশঙ্কর রায়। তিনি মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য। ওই ওয়ার্ডে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যালয়।
ইউপি সদস্যের ওই পোস্টটি শেয়ারের পর ওই ইউনিয়নের বাসিন্দারা তহশিলদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্য শেয়ার করেন। ওই ইউনিয়নের সাতহালিয়া গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম ১২৫০০ টাকার কর ৫০ হাজার টাকা নিচ্ছেন এমন মন্তব্য করেছেন।
বরিউল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমি জমির খাজনা দিতে চার মাস ধরে নায়েবের পিছে পিছে ঘুরেছি। অবশেষে ১২ হাজার ৫০০ টাকার রশিদের বিপরীতে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া লাগছে। এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি।
আফজাল হোসেন সুমন মন্তব্য করেন, সত্যি ব্যাপক অনিয়ম চলছে। লক্ষণ সরকার মন্তব্য করেন, পদক্ষেপ নেন না কেনো। কেউ কিছু না বললে ওরা যা ইচ্ছা তাই করছে। হিরক মন্ডল মন্তব্য করেছেন একদম খাঁটি সত্য কথা। আমিও ভোগান্তির স্বীকার হয়েছিলাম বিবর্তন মন্ডল নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারীও এমন মন্তব্য করেন ওই পোস্টে।
ইউপি সদস্য মনিশঙ্কর রায় বলেন, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব মানুষের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। জমির খাজনার ব্যাপারে তার সাথে আলাদা চুক্তিকরা লাগে নইলে খাজনা কাটা সম্ভব হয় না কারোর। খাজনার রশিদে ৫০০ টাকা লেখা থাকলে তাকে দিতে হয় ১৫ হাজার টাকা নাইলে খাজনা দেওয়া সম্ভব হয় না। এই ওয়ার্ডের সদস্য হওয়ায় এমন অভিযোগ প্রতিদিনই শুনতে হয়।এ বিষয়ে অনেক বার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী বলেন, নায়েব আবু বকর ইচ্ছাকৃত ভাবে মানুষের হয়রানি কারে।ঘুষ ছাড়া নায়েব কিছুই করেন না। ১২ হাজার টাকা নিয়ে ২০০ টাকার রশিদ দেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে। ঘুষ নিয়ে মিথ্য প্রতিবেদন দিয়ে মানুষের হয়রানিওন করেছেন । কোন পরামর্শের জন্য গেলে টাকা ছাড়া পরামর্শ মেলে না। নায়েবের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ প্রতিদিনই শুনতে হয়।কয়েক মাস আগে নায়েবের বদলির আদেশ হয়েছিল কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির বলে এখনো এখানে থেকে গেছে জানি না।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে এগুলো সবই মিথ্যা।আমার এখানে সেবা গ্রহীতারা ভালোভাবে সেবা পায়। রশিদের বাহিরে একটি টাকা নেওয়া হয় না।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) বি এম তারিক উজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply