[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

সরিষাবাড়ীতে মাথায় ‘দা দিয়ে’ কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা: আহত-৫।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্বপন মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি-

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বসতবাড়ীর জমি নিয়ে মারামারি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচ জন আহত হয়েছে।

গত শনিবার (২১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের রায়দেরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ছাহেরা বেগম (৫০), হনুফা বেগম (৩৫), সাইফ হাসান (২৩) হাফিজা বেগম, হুমায়ুন মিয়া (২২)। গুরুত্বর আহতদের সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, রায়দেরপাড়া গ্রামের খালেক মন্ডলের ছেলে ছাইফুল মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে সোহেল, শিপন ও রিপন মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে ২২শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত শনিবার সকালে বিরোধপুর্ন জমিতে জোরপূর্বক গাছ কেটে জবর দখল করতে যায় সোহেল মিয়ার পরিবারের লোক জন।

এসময় ছাইফুল মিয়ার (মা) ছাহেরা বেগম বাঁধা দিলে সোহেল, শিপন ও রিপন মিয়ার পরিবারের লোক জন উত্তেজিত হয়ে ছাহেরা বেগমের উপর ‘রামদা’ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে। এসময় ফেরাতে আসলে ছাইফুল ইসলামের ‘ফুফু’ হনুফা বেগম, সাইফ হাসান, হাফিজা বেগম ও হুমায়ুন মিয়াকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে সোহেল মিয়ার পরিবারের লোক জন। পরে গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

আহত ছাহেরা বেগম বলেন, ‘জোর করে বসতবাড়ি জায়গা দখল করতে চায় আমির উদ্দিনের ছেলে সোহেল, শিপন ও রিপন মিয়ারা। আমাদের জায়গা তারা বেদখল দিতে আসলে বাধাঁ দেওয়ার সাথে সাথে দা দিয়ে কোপ মারে সোহেল মিয়া।

ছাইফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। গ্রামের কোন শালিস বৈঠক তারা মানে না, জোর করেই জমি দখল করতে চায়। এঘটনা থানায় জানানো হয়েছে অভিযোগে প্রস্তুতি চলছে।

এ-বিষয়ে অভিযুক্ত পরিবারের শিপন ও রিপন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার বলেন, ‘জমি দলিল যার জমি তাদের। তাদের কোন জমি সেখানে নেই। তাদেরকে আমরা আহত করিনি বরং তারাই আমাদের মেরেছে।

এ-ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মহব্বত কবির বলেন, এঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষ্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *