[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

ঝিকরগাছায় ভাল ফলাফল না করায় মাদ্রাসার স্বীকৃতি নবায়ন বন্ধ : নিরাপত্তা কর্মী যখন শিক্ষক !

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শাহাবুদ্দিন মোড়ল , ঝিকরগাছা :

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী ইউনিয়নে ১৯৯৫সালে স্থাপিত বোধখানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৯৮সালে এমপিও ভুক্ত হয়ে ক্রমাগতই ভালো ফলাফল করলেও বর্তমানে যে ফলাফল অর্জন হচ্ছে, তা থেকে স্বীকৃতি নবায়ণও বন্ধ হয়ে থাকতে গেছে। এছাড়াও শিক্ষা অধিপ্তর ও এমপিও নিয়মনীতি থেকে বাঁচতে মাদ্রাসায় নিরাপত্তা কর্মী তহিদুজ্জামান রানীকে দিয়েও ক্লাস নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানা যায়, ৩বছর মাদ্রাসায় থেকে দাখিল পরিক্ষায় প্রতিবার কমপক্ষে মফস্বল ১৮জন পরিক্ষা দিয়ে তার মধ্যে ৫০% পাশ করতে হবে। কিন্তু উক্ত মাদ্রাসা থেকে প্রতিবারই গণিত বিষয়ের উপর অকৃতকার্যের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এবার স্বীকৃতি নবায়ণ পেলো না। তাহলে নিরাপত্তা কর্মী তহিদুজ্জামান রনিকে শিক্ষকের চেয়ারে বসিয়ে ক্লাস নেওয়ার মানে খুজে পাচ্ছে না অভিভাবক মহল। তার সাথে সংযুক্ত হয়ে ক্ষমতার অপব্যহার করতে দেখা গেছে এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলম। ক্রমাগতই এই মাদ্রাসা নিয়ে খুটিনাটি সমস্যা লেগে থাকতে দেখা গেছে। প্রায় ৪বছর পূর্বে মাদ্রাসা থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে অধ্যক্ষ মাও. মিজানুর রহমান বহিস্কার হন। সেই ফাকে তৎকালীন সভাপতি ও এই সুপার (ভারপ্রাপ্ত) অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য ২৫/০৯/২০২১ইং তারিখে নিরাপত্তা কর্মীকে নিয়োগ দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। বর্তমানে এই নিরাপত্তা কর্মী ও সহকারী শিক্ষক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের চেয়ার দখলে নিজ ক্ষমতার সাথে রাজনৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করে চলেছে। তাদের ক্ষমতার প্রভাব থেকে বাদ যাচ্ছে না স্থানীয় সংবাদকর্মীরাও। এছাড়াও মাদ্রাসার ব্যাংক হিসাবে কোনো প্রকার অর্থ না থাকায় নিজের পকেটের অর্থ প্রতিষ্ঠানের জন্য খরচ করছেন বলে দাবী করেছেন সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জহুরুল হক ও সভাপতি এস.এম মশকুর আলম। তবে সাবেক সভাপতির দাবী তিনি মাদ্রাসায় থাকা কালীন নিজের অর্থের বিনিময়ে একটি টিন সেটের বিল্ডিং করেছেন।
মাদ্রাসায় নিরাপত্তা কর্মী তহিদুজ্জামান রনি বলে, স্যাররা ক্লাস নিতে বললে আমি কি করবো।
এনটিআরসিএ থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলম বলেন, সে ক্লাস নিচ্ছে তাতে আপনাদের সম্যা কি ? আপনারা তাহলে আমাদের শিক্ষক দেন।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ জহুরুল হক বলেন, আমাদের এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী পরিক্ষায় শিক্ষার্থী পাশ করাতে পারিনি। যার কারণে আমাদের স্বীকৃতি নবায়ন বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক সংকেটে থাকার কারণে নিরাপত্তা কর্মীকে দিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে। বোঝেন তো আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে রয়েছি।
মাদ্রাসার সভাপতি ও আর.এম রিসালাহ মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস.এম মশকুর আলম বলেন, উপর থেকে আমাকে বলে ছিল সব শিক্ষকদের বেতন ভাতা বন্ধ করে দিতে। কিন্তু সবার সংসার ধর্ম আছে বিধায়, আমি বেতন ভাতা বন্ধ করতে পারবো না বলে জানিয়েছি। মাদ্রাসার সুবিধার জন্য নিরাপত্তা কর্মীকে দিয়ে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। পূর্বের কমিটির সভাপতি মাদ্রাসার উন্নয়ন করেনি। দুইটা নিয়োগ দেওয়ার পরেও মাদ্রাসার একাউন্ডে কোনো টাকা নেই। সব আমার নিজের পকেট থেকে খরচ করছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন মিয়া বলেন, প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত সুপারকে বলেছি বাহির থেকে কেউ প্রতিষ্ঠানে গেলে তাদের সাথে যেনো ভালো ব্যবহার করা হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *