[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

কয়রায় বেড়িবাঁধে ফাটল, আতঙ্কে এলাকাবাসী।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল , কয়রা, খুলনা ঃ 

খুলনার কয়রায় জোড়শিং এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অর্থায়নে এক বছর আগে সংস্কার করা হয় বেড়ি বাঁধ। এরই মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে বাঁধে। কিছু কিছু অংশে ধ্বসে যাওয়ায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ফসলের খেতসহ মাছের ঘের ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় তারা। 

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার শাকবাড়ীয়া নদীর পাউবোর ১৪/১ নম্বর পোল্ডারের ১০০ মিটার অংশে ছোট-বড় অনেক ফাটল ও ধ্বস দেখা দিয়েছে। জোড়শিং এলাকার অংশটুকু বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে ভাঙন হুমকিতে পড়েছে বাঁধসংলগ্ন জোড়শিং, আংটিহারা, গোলখালি, বিনাপানি গ্রামসহ দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ভাঙনরোধে পাউবোর পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে প্রায় ২ হাজার একর আমন ক্ষেতসহ অসংখ্য মাছের ঘের নদীর লোনা পানিতে ডুবে যাওয়ায় আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 
আজ মঙ্গলবার সকালে বেড়িবাঁধ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের নদীর পাড়ের তলদেশ থেকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে অনেকগুলো ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি ফাটল অংশের মাটি নদী গর্ভে বিলীন হতে দেখা গেছে। 

জোড়শিং গ্রামের বাসিন্দা নিমাই ঘরামী বলেন, বাঁধ সংস্কার কাজ সঠিকভাবে না হওয়ায় বৃষ্টির কারণে ফাটল ও ধ্বস দেখা দিয়েছে। এখন প্রবল জোয়ারে যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। বিশেষ করে জোড়শিং বাজারের পূর্বপাশে মাকালি মন্দিরের সামনের অবস্থা খুবই খারাপ। জরুরিভিত্তিতে বাঁধে কাজ করা না হলে দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের মানুষের আবারও পানিতে ডুবতে হবে। 

দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাঙন কবলিত স্থানে গিয়েছিলাম। বিষয়টি পাউবোর কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত পাউবোর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেনি।’ 

খুলনা পাউবোর (বিভাগ-২) নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন, ‘জোড়শিং এলাকার ফাটলের খবর পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’  

কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি
তারিখ: ০৩/১০/২৩ ইং।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *