[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

ডুমুরিয়ায় শাহপুর-ফুলতলা সড়কটি চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ, ইট-খোয়া উঠে খানা খন্দে পরিণত, জনদুর্ভোগ চরমে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তুষার কবিরাজ ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি।

ডুমুরিয়ায় শাহপুর-ফুলতলা সড়কে ইট-খোয়া উঠে বড় বড় খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। যানবাহন ও লোক চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ায় দিন দিন বাড়ছে জনদুর্ভোগ ও দূর্ঘটনা। এ যেন দেখার কেউ নেই ? তবে কর্তৃপক্ষ বলছে দ্রুত এ সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা জেলার আওতাধীন ডুমুরিয়ার মিকশিমিল ভায়া শাহপুর-ফুলতলা সড়ক তৎকালীন এলাকাবাসীর দাবিতে প্রয়াত স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালাউদ্দিন ইউসুফের প্রচেষ্টায় সড়কটি পাকাকরণ করা হয়। উপজেলার বাণিজ্যিক উপশহর নামে খ্যাত শাহপুরে রয়েছে সরকারি দুটি কলেজ, সরকারি বেসরকারি ছয়টি ব্যাংক, একাধিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, পশুহাট, মৎস্য আড়ত সহ বহু এনজিও প্রতিষ্ঠান। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, ভ্যানগাড়ি, মটরসাইকেল, মাহেন্দ্র,বাস,ট্রাকসহ ভারী যানবাহন চলাচল করে থাকে। সম্প্রতি এ সড়কটির একাধিক স্থানে ভেঙে ও খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত ও খানা খন্দে পরিণত হয়েছে। এরমধ্যে শাহপুর বাজার হতে ঋষিপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রায় তিনশত মিটার সড়ক মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। জায়গাটির পিচ খোয়া উঠে বড় বড় গর্ত এমনকি বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে হাঁটু পানি। এতে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা জনসাধারণ পায়ে হেঁটেও চলতে পারে না। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে দূর্ঘটনা ঘটেই থাকে। তাছাড়া চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হ‌ওয়ায় যানবাহন ও পথচারিরা বিকল্প রাস্তা হিসেবে প্রায় আধা কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অন্য রাস্তা ব্যবহার করে আসছে। কথা হয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক আঃ রব আকুঞ্জি, চা দোকানি শান্ত গাজী, টাইলস ব্যবসায়ী রবিউল গোলদার সহ একাধিক দোকানির সাথে। তারা এক‌ই সুরে সুর মিলিয়ে বলেন বৃষ্টি হলে ভাঙ্গা রাস্তাটি তলিয়ে যায় আর এ সময় লোক চলাচল কমে যাওয়ায় সে কয়দিন আমাদের দোকানে বেচাকেনাও কম হয়ে যায়। এছাড়াও গত সপ্তাহে ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে গরু বোঝাই ট্রাক উল্টে ২/৩টি গরু মারা যাবার ঘটনাও ঘটেছে। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আর‌ও বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এ বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নেই ? জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের জন্য জোর দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে আছে এবং মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন মহলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *