নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা।
খুলনার বটিয়াঘাটার সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির চার নারী ফুটবলারকে মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার না করলে এসিডে শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনায় দায়ের হওয়া জিডির সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সকালে তিন আসামি সালাউদ্দিন খাঁ তার মা রঞ্জি বেগম ও বোন নুপুর আদালতে জামিন চাইলে আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাদিউজ্জামান এই আদেশ দিয়েছেন। আদেশের পর কঠোর গোপনীয়তায় তিন আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গনে বাদী পক্ষের আইনজিবী অ্যাডঃ মনজিলুর রহমান জানান, আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন,হত্যা প্রচেষ্টা মামলার জামিনে থাকা তিন আসামি তাদের জামিনের সকল শর্ত ভঙ্গ করেছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে হত্যা প্রচেষ্টা মামলার বাদি সাদিয়া নাসরিন ও অন্য ভুক্ত ভোগিদেরকে মামলা তুলে না নিলে এসিডে শরীর ঝলসে দেয়ার হুমকি দেয়। যা পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত। বাদি ও অপর ফুটবলারদের নিরাত্তা নিশ্চিত করতেই জামিন বাতিলের আদেশ দেয়া হলো। হাফপ্যান্ট পরে ফুটবল খেলায় গত ২৯ জুলাই রাতে বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা গ্রামে পযায়ক্রমে চার নারী ফুচবলারতে মারধর ও গুরুত্বর আহত করে নুর খাঁ ও তার পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় ৩০ জুলাই বটিয়াঘাটা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা প্রচেষ্টা মামলা করেন ফুটবলার সাদিয়া নাসরীন। পুলিশ নুর খাঁকে গ্রেফতার করলেও অপর তিন আসামি আদালত থেকে জামিন ছিলেন। পরে এসিডে শরীর ঝলসে দেয়ার হুমকি দিলে সাদিয়া তিনজনকে অভিযুক্ত করে ১ আগষ্ট থানায় জিডি করেছিলেন।
Leave a Reply