৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত: শপথ নিলেন মোকাব্বির খান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই নিউজ:সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নিয়েছেন উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত মোকাব্বির খান।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদ ভবনে তার দপ্তরে মোকাব্বির খানকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এর আগে মোকাব্বির খান জানিয়েছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই শপথ নিচ্ছেন তিনি। তবে তার দল গণফোরাম বলছে, এমন কোনো সিদ্ধান্তই হয়নি।

সোমবার দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত ছিল কেউ শপথ নেবে না। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর যেমন দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিয়ে বহিষ্কৃত হয়েছেন। মোকাব্বিরের বেলায়ও দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সুব্রত চৌধুরী বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মোকাব্বির খান দলের সাধারণ সম্পাদকের সই ছাড়াই দলীয় প্যাড ব্যবহার করে শপথ নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। এটা তিনি ঠিক করেননি। ২০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মোকাব্বির খান বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদ থেকে আমাকে শপথ নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠির জবাবে আমি সোমবার (১ এপ্রিল) শপথ নেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে স্পিকার বরাবরে চিঠি দিয়েছি। দশ মিনিটের মধ্যে চিঠির জবাবও পেয়েছি।

যেহেতু দলের সাধারণ সম্পাদকের দেওয়া মনোনয়নপত্র নিয়ে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন, সেক্ষেত্রে শপথ নেওয়ার আগে সাধারণ সম্পাদকের এমন কোনো লিখিত অনুমতির প্রয়োজন আছে কি না জানতে চাইলে মোকাব্বির বলেন, না সে ধরনের কোনো আইন নেই। আমি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি। দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শপথ নেব। আমি নিজে সই করেই চিঠি দিয়েছি।

গণফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক বলেন, মোকাব্বির খান সত্য বলেননি। তার শপথ নেওয়ার বিষয়ে দল তাকে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। ৩০ ডিসেম্বরের পরে এখন পর্যন্ত দলের কোনো সভায়ই এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি যে, মোকাব্বির শপথ নেবেন। বরং তিনি দলীয় প্যাড চুরি করে নিজেই সই করে চিঠি দিয়েছেন।

কোনো কোনো গণমাধ্যমে ড. কামাল হোসেন তাকে অনুমতি দিয়েছেন বলে মোকাব্বির খান যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে পথিক বলেন, গণফোরাম ড. কামাল হোসেনের একক সম্পত্তি নয়। এই দলের সকল সদস্য এটার মালিক। সুতরাং ড. কামাল হোসেন এ ধরনের সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। আমার জানামতে তিনি এমন সিদ্ধান্ত দেননি।

এর আগে ৭ মার্চ শপথ নেয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ৬ মার্চ সন্ধ্যায় সিদ্ধান্ত পাল্টান মোকাব্বির খান। দলীয় চাপের মুখে তিনি তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। তবে ওই দিন অর্থাৎ ৭ মার্চ শপথ নেন গণফোরামের আরেক সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেওয়ায় গণফোরামের আরেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামের প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোকাব্বির খান। তিনি সিলেট-২ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হন তিনি। এই আসনে প্রথমে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনাকে। তার মনোনয়ন বাতিল হলে মোকাব্বিরকে সমর্থন দেয় ঐক্যফ্রন্ট।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।