৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

শেষ পযন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে, কর্নেল অলি,

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
০২ ডিসেম্বর ২০১৮,

কর্নেল (অব.) অলি আহমদ । ফাইল ছবি
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ । ফাইল ছবি
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ বলেছেন, সরকারের কার্যকলাপের কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে।

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটের বৈঠক শেষে রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ এ কথা বলেন।

অলি আহমদ অভিযোগ করেন, সরকারি দলের লোকজন বিভিন্ন সংস্থার নামে প্রতিনিয়ত দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। প্রার্থীসহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে নির্বাচনের ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও পরিবেশ নেই। যেভাবে জুলুম, নির্যাতন করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকা সম্ভব না-ও হতে পারে।

অলি আহমদ আরও অভিযোগ করেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর অনেক প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে জেলে পাঠানো হয়েছে। মাঠ খালি করতে আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন। আজ অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অনেকের ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে, তাঁদেরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। কেউ কেউ স্থানীয় সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, তাঁদেরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব ৬০০-এর বেশি মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করেছেন, একটু এদিক সেদিক হতেই পারে। সেটা যাচাই না করে বাতিল করা হয়েছে। ইসির উচিত ছিল, দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। সেটাও তারা করেনি।

২০–দলীয় জোটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে অভিযোগ করে অলি আহমদ বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা বসে আছেন হিমালয়ের ওপর, আর আমরা বসে আছি পাদদেশে। এটাকে কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বলে না।’

অলি আহমদ বলেন, ২০–দলীয় জোট নির্বাচনে থাকতে চায়। প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের যে কথা বলেন, সেটার বাস্তবায়ন চায়। ইতিমধ্যে ২০–দলীয় জোটের ৮০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। যেভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া হবে না, ২০–দলীয় জোট বসে থাকবে না।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২০–দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাগপার মহাসচিব খন্দকার লুৎফর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা নুর হোসেন কাসেমী, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য শফি উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।