১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

ধামইরহাটে গ্রামে গ্রামে চলছে ফ্রি ভ্যাকসিন নিবন্ধন কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নওগাঁর ধামইরহাটে গ্রামে গ্রামে চলছে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য অনলাইনের মাধ্যম নিবন্ধন কার্যক্রম। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম্যঞ্চলে গিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করায় মানুষের মাঝে টিকা গ্রহণের উৎসাহ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় এ মহৎ কাজটি করছে ঢাকাস্থ ধামইরহাট-পত্নীতলা কল্যাণ সমিতিসহ আরও কয়েকটি সংস্থা।

এব্যাপারে ঢাকাস্থ ধামইরহাট-পত্নীতলা কল্যাণ সমিতির দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বী বলেন, বর্তমানে করোনকালে পুরো পৃথিবী পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় শহরে টিকা গ্রহণের হার বেশি হলেও গ্রামে অনেক কম। তাই গ্রামের মানুষের দোড় গোড়ায় গিয়ে তাদেরকে টিকা গ্রহণে উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি বিনামূল্যে টিকা গ্রহণের নিবন্ধন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। গত ২৭ জুলাই উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত রাঙ্গামাটি বাজারে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো.ফজলুর রহমান। রবিবার (১ আগস্ট) পর্যন্ত ধামইরহাট উপজেলার ৭টি এবং পত্নীতলা উপজেলার ৭টি মোট ১৪টি পয়েন্টে ৫ হাজার মানুষের টিকা গ্রহণের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত মানুষ টিকা গ্রহণ করবেন ততদিন পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। দুই উপজেলার কার্যক্রম দেখভাল করছেন সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.সাজেদুর রহমান সাজু। এ কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন, আগ্রাদ্বিগুন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেনজির আহমেদ, সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ফজলে রাব্বী, উপ দপ্তর সম্পাদক শিহাব আল মশিউর, ইউনিয়ন সমন্বয়ক নুর আলম, সাকলাইন হোসেন, রবিউল ইসলাম সানি, আকতার হোসেন চৌধুরী সৈকত।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, গ্রামের অজ্ঞ, দুস্থ্য মানুষ সহজে অনলাইনে টিকা গ্রহণের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য ধামইরহাট-পত্নীতলা কল্যাণ সমিতি প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়া কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার,ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়ে সীমান্তিক নামে একটি সেসরকার উন্নয়ন সংস্থাও কাজ শুরু করেছে। আমাদের লক্ষ্য আশি ভাগের বেশি মানুষ যেন টিকা গ্রহণ করতে পারে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।