সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নের পয়লা ,দত্তকান্দি, ঘুশুরিয়া ও চৌবাড়িয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ইউনিয়নের প্রবাহমান যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে উপরোক্ত গ্রাম সমূহে প্রায় ষোল হাজার জনসাধারণের বসবাস। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় সুশিক্ষার আলোর মুখ দেখা হয়না এখানের অনেক শিশুর। প্রায় ১০ মাইলের মধ্যে নেই কোন প্রাইমারি স্কুল ৷ দুর্গম যমুনা নদীর পুর্ব পাড়ে অবস্থিত রয়েছে কোন এক সময়ের নির্মিত ৪০নং পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷
জানা যায় ২০০০ সালে যমুনার ভাঙনে বিলীন হয় ৪০নং পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ পরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে চর সলিমাবাদ গ্রামে ভ্রাম্যমাণ ভাবে নির্মাণ করা হয় স্কুলটি ৷
উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চর সলিমাবাদ গ্রামে ৷ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উল্লেখিত গ্রামগুলোর শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় কাছে না থাকায় এসব গ্রামের জনসাধারণ,তাদের শিশু সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এসব গ্রামের ছাত্র- ছাত্রীদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে প্রতিদিন বাধ্য হয়েই যমুনা নদী খেয়া নৌকা দিয়ে পার হয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চবিদ্যালয়ে আসাযাওয়া করতে হয়। বর্ষার মৌসুমে উত্তাল নদী খেয়া নৌকা দিয়ে পার হয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসাযাওয়া ভয়ের কারণ বলে এলাকার অভিভাবকরা এ প্রতিনিধিকে জানান।উল্ল্যেখ যমুনায় খেয়ানৌকা ডুবে বিভিন্ন সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। অনেক ছাত্র- ছাত্রী সাঁতার না জানায় শিক্ষা গ্রহণে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পয়লা গ্রামের শিশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় বেশির ভাগ শিশু শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য গত ২৭-৭-২০২১ইং জুলাই মাসে চৌহালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন। এলাকাবাসী শিক্ষার প্রসারে পয়লা গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এদিকে ৪০নং পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্কুল নির্মাণের ভুমিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভা আব্দুল হালিম৷
Leave a Reply