২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

চৌহালীতে চরে শিক্ষার আলো বঞ্চিত ৪ গ্রামের শিশুরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার উমারপুর ইউনিয়নের পয়লা ,দত্তকান্দি, ঘুশুরিয়া ও চৌবাড়িয়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ইউনিয়নের প্রবাহমান যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে উপরোক্ত গ্রাম সমূহে প্রায় ষোল হাজার জনসাধারণের বসবাস। একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় সুশিক্ষার আলোর মুখ দেখা হয়না এখানের অনেক শিশুর। প্রায় ১০ মাইলের মধ্যে নেই কোন প্রাইমারি স্কুল ৷ দুর্গম যমুনা নদীর পুর্ব পাড়ে অবস্থিত রয়েছে কোন এক সময়ের নির্মিত ৪০নং পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷

জানা যায় ২০০০ সালে যমুনার ভাঙনে বিলীন হয় ৪০নং পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়৷ পরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে চর সলিমাবাদ গ্রামে ভ্রাম্যমাণ ভাবে নির্মাণ করা হয় স্কুলটি ৷

উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের চর সলিমাবাদ গ্রামে ৷ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উল্লেখিত গ্রামগুলোর শিশু শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় কাছে না থাকায় এসব গ্রামের জনসাধারণ,তাদের শিশু সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এসব গ্রামের ছাত্র- ছাত্রীদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে প্রতিদিন বাধ্য হয়েই যমুনা নদী খেয়া নৌকা দিয়ে পার হয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চবিদ্যালয়ে আসাযাওয়া করতে হয়। বর্ষার মৌসুমে উত্তাল নদী খেয়া নৌকা দিয়ে পার হয়ে প্রতিদিন স্কুলে আসাযাওয়া ভয়ের কারণ বলে এলাকার অভিভাবকরা এ প্রতিনিধিকে জানান।উল্ল্যেখ যমুনায় খেয়ানৌকা ডুবে বিভিন্ন সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। অনেক ছাত্র- ছাত্রী সাঁতার না জানায় শিক্ষা গ্রহণে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। পয়লা গ্রামের শিশুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় বেশির ভাগ শিশু শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে।

সচেতন এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য গত ২৭-৭-২০২১ইং জুলাই মাসে চৌহালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন। এলাকাবাসী শিক্ষার প্রসারে পয়লা গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এদিকে ৪০নং পয়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্কুল নির্মাণের ভুমিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভা আব্দুল হালিম৷

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।