[english_date]।[bangla_date]।[bangla_day]

সাভারে খোলা আকাশের নিচে অবৈধভাবে মুরগি ও মাছের ভেজাল খাদ্য উৎপাদন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

শাহাদাত হোসেন (আশুলিয়া) প্রতিনিধি॥

সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর হরিণধরা এলাকায় হেমায়েতপুর টেনারি থেকে আসা চামড়ার বিষ্ঠা এসিড দিয়ে শুকনো চামড়া ও বিষ্ঠা গলিয়ে খোলা আকাশের নিচে প্রকাশ্যে অবৈধ ভাবে তৈরি হচ্ছে মুরগি ও মাছের ভেজাল খাদ্য।

বিভিন্ন অভিযোগ সূত্রে ঘটনাস্থলে গেলে দেখা যায়, এখানে প্রায় ২৫টি চামড়া গলানো তাওয়া রয়েছে। মালিক রয়েছে ১৩ জন। প্রত্যেক তাওয়ার রয়েছে প্রায় ৮ জন করে শ্রমিক। তারা চামড়া গলিয়ে সেগুলো শুকিয়ে মেশিনের সাহায্যে গুড়ো করছে। চামড়া এসিড এবং আগুন দিয়ে গলানোর কারনে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে আশ পাশের এলাকা। যে সকল শ্রমিক এখানে কাজ করছেন তাদের না আছে হ্যান্ড গ্লবস না ব্যবহার হচ্ছে মাস্ক। এরা জিবিকার তাগিদে না বুঝে কাজ করায় হুমকির মুখে তাদের জীবনও। এটা জেনেও মালিক পক্ষ দিচ্ছে না তাদের জীবন রক্ষার সারঞ্জাম। উল্টো সংবাদকর্মীগণ যাওয়ার সাথে সাথে সকল কর্মীগন তাদের কাজকর্ম বন্ধ রেখে আস্তে আস্তে বিভিন্ন অজুহাতে পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলার জন্য কাউকেই পাওয়া যায় নি। পরে প্রায় ৮-১০জন শ্রমিকের সাথে কথা বললে তারা জানায়, আমরা যে কাজ করি তা অবৈধ আমরা জানি এবং মালিক পক্ষ থেকে আমাদের বলা হয়েছে প্রশাসনিক কেউ অথবা সংবাদকর্মীগণ আসা দেখলেই তোমরা সকলেই কাজ বন্ধ রেখে চলে যাবে এবং আমাদের নাম বা নাম্বার কাউকে বলবে না।

মালিক পক্ষ কাউকে না পাওয়ায় যে ট্রাক দিয়ে এই বিষ্ঠা আনা নেওয়া করা হয় তার একজন কন্ট্রাকটর আব্দুর রব নামে এক ব্যক্তি সাথে কথা বললে কয়েকজন মালিকের নাম পাওয়া যায়। তারা হলেন, মোঃ আশরাফুল, রহমত আলী, মনিসহ আরও ১০জন। এদের সকল দেখভাল ও সেল্টার দিচ্ছে স্থানীয় এক ব্যক্তি সুমন। প্রায় ২/৩ ঘন্টা কাজ বন্ধ থাকার পরও কোন মালিক বা কন্ট্রাকটর স্পটে আসেনি এমনকি কোন শ্রমিককে এই ৩ ঘন্টা এলাকায় দেখা যায় নি।

এলাকাবাসী জানান, এই কারখানার পূর্বে দিকে একটি ঘনবসতি এলাকা রয়েছে। আমরা এখানে বসবাস করি। চামড়া গলানো হলে দুর্গন্ধে দূষিত হয়। আমরা চামড়া গলানোর গন্ধে ভাত বা পানি খেতে পারছিনা ও আমাদের ছেলে মেয়েরা বিভিন্ন অসুস্থতার স্বীকার হচ্ছে। এবং এই খাদ্য খাওয়ানো মাছ ও মুরগি মানব দেহের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে আমরা মনে করি।

আমরা এলাকাবাসী স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই সমস্ত মুরগি ও মাছের ভেজাল খাদ্য তৈরির কারখানা বন্ধ ও অসাধু ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *