সাইদুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
শৈলকুপায় জামাই কর্তৃক শাশুড়ী ও শ্বশুর নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। লাঠি ও বাটাম দিয়ে তাদেরকে পিটিয়ে জখম করেছে জামাই।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কৃপালপুর গ্রামে।
জানা যায়, কৃপালপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী সাজেদা প্রবাসে (নেবানলে) প্রায় ৪ বছর আগে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর নজরুল ইসলাম বছর দুয়েক আগে পুনরায় মাগুরা শ্রীকান্তপুর গ্রামের শাহানাজকে বিয়ে করেন। এ সংসারে হোসাইন নামে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়।
এরপর থেকে শুরু হয় নজরুল ইসলামের মেয়ে রোজিনা ও জামাই মশিয়ারের সাথে পারিবারিক ঝামেলা।
নজরুল ইসলাম জানান, মেয়ে ও জামাই দীর্ঘদিন যাবৎ তার বাড়িতেই বসবাস করে আসছে। তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর তার জমিজমা ও অর্থ সম্পত্তি মেয়ে জামাই ভোগ করতে থাকে। এমতাবস্থায় তিনি পুনরায় বিয়ে করায় সে সংসারে পুত্র সন্তান জন্ম নেয়ায় মেয়ে জামাই ক্ষুব্ধ হয়। এরপর থেকেই একের পর এক ঝামেলা চলে আসছিলো। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সকালে গরুর গোয়ালে মোটরের মাধ্যমে পানি দেয়া নিয়ে মেয়ে জামাই এর সাথে তার ও তার স্ত্রীর বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জামাই মশিয়ার বাটাম ও লাঠি দিয়ে শ্বশুর নজরুল এবং শ্বাশুড়ী শাহানাজকে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় দুধের শিশুকেও মেরে ফেলার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করে।
জামাই মশিয়ার রহমান বলেন, শ্বশুর ও শাশুড়ী তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে চারিত্রিক দোষারোপ করায় তিনি মারধর করেছেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।