নিজস্ব প্রতিবেদক :
তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান আব্দুর রহমান মেম্বার নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাসী।আব্দুর রহমান মেম্বার লক্ষ্মীপুরের ১৮ নং কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। একান্ত আলাপচারিতায় জানা যায়,তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে একনিষ্ঠভাবে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে থেকেছেন দীর্ঘসময়।ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে অদ্যবধি পর্যন্ত হাল ছাড়েননি আওয়ামীলীগের। দলের দুঃসময়ে নানামুখী নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন জামাত শিবির জোট সরকারের আমলে।পরিবার পরিজন ছেড়ে বিভিন্ন সময় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে তাকে।দলের জন্য নিজেকে উৎস্বর্গ করে আজও তিনি অবহেলিত উপেক্ষিত। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকলেও খুব একটা পরিবর্তন হয়নি তার। সাদা মাঠা জীবন নিয়ে এলাকার মানুষের ভালোবাসাকে পুজি করেই শেষ জীবনে জনগনের প্রতিনিধিত্ব করতে চান।দলের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবার হয়তো নৌকার মনোনয়ন পেতে পারেন এমন আশায় তিনি ইউনিয়নবাসীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভোটের আশায়।অবহেলিত ও উপেক্ষিত এই ইউনিয়নটাকে উন্নয়নের ছোয়া লাগিয়ে আমুল পরিবর্তনের পাসাপাসি ইউনিয়নবাসীর সুখে দুঃখে সবসময় পাসে থাকারও প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করেন।কত বছর আপনি আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে রয়েছেন?এমন প্রশ্নের জবাবে গুনি এই নেতা আমাদের প্রতিবেদককে জানান, আমি ১৯৮৬ ইং সনে রুপাচড়া সফিউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র লীগের সভাপতি ছিলাম,১৯৮৮ ইং সনে কুশাখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করি,১৯৯০ ইং সনে কুশাখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পাই।এরপর ১৯৯২ ইং সন হতে ২০১২ সন পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি এবং ২০১২ ইং সন হতে অদ্যবধি পর্যন্ত কাউন্সিলিং ভোটে নির্বাচিত হয়ে অদ্য পর্যন্ত কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অতি সুনামের সহিত পালন করছি।এছাড়াও আমি চন্দ্রগন্জ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য। কুশাখালী ইউনিয়নের ছাত্রলীগ,যুবলীগ সহ আওয়ামী অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি জেলা নেতাদের সঙ্গে যার নীবিড় সম্পর্ক এমন ব্যাক্তি আওয়ামীলীগ হতে নৌকার মনোনয়ন পেলে এখানকার নেতা-কর্মীরা অনেক উপকৃত হবে এবং দল আরও সুসংগঠিত হবে এমনটাই জানিয়েছেন আওয়ামীলীগ তথা অঙ্গ সংগঠনের লোকজন।এদিকে তফসিল ঘোষণা হতে না হতেই পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে চায়ের দোকান গুলোয় আব্দুর রহমান মেম্বারের ব্যাপক গুঞ্জন শুনা গেছে।