সুমন সেন চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।
বাংলাদেশের পার্বত্য কন্যা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। নয়নভিরাম সবুজ শ্যামল উঁচু-নিচু পাহাড় পর্বত এ যেন এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এই পাহাড়-পর্বত কোনায় কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ঝিরি,ঝরনা, ছড়া মত অসংখ্য নদ-নদী। আর এই সবুজ ঘেরা পাহাড় থেকে পাহাড়ে রয়েছে আদিবাসীদের বসতি। বিশেষ করে এই অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্বল ও যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে এখনো রয়ে গেছে পাহাড়ের আদিবাসীদের অনুন্নত ও সাধারণ জীবনযাপন। এখনো কোন কোন গ্রামের পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য রাস্তা-ঘাট, মোবাইল নেটওয়ার্ক। দেশে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান সবার মুখে মুখে মুখরিত হলেও এখনও ডিজিটাল বাংলাদেশের কোন প্রভাব পড়েনি এখানকার অধিবাসীদের জীবন-জীবিকা। তবে বর্তমান সরকারের কিছু যুগোপযোগী ও কিছু উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করায় কিছু কিছু এলাকা চিত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। মাটিরাঙ্গা উপজেলার মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বৃহত্তর ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম। এ ইউনিয়নের বেশ অঞ্চল খুব দুর্গম ও পাহাড়ি পথ হাওয়াই এখনো বেশকিছু জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া তো দূরের কথা, সাধারন ভাবে জীবন যাপন করারও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এ সকল অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য দরকার যোগ্য নেতৃত্ব ও যুগোপযোগী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন জনপ্রতিনিধি। আর এই মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নের সাধারণ বাসিন্দা ও সুশিক্ষিত তরুণ সমাজ সেবক হলেন ত্রিপন জয় ত্রিপুরা। বর্তমানে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে গণমাধ্যমে কাজ করছেন। এর পাশাপাশি নিজের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেছেন খাগড়াছড়ি মিউজিক স্কুল এন্ড ওয়ার্কশপ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও রেডিমেড গার্মেন্টস এসোসরিজ ব্যবসাসহ কাজ করছেন স্থানীয় ধর্মীয় সংগঠন ত্রিপুরা সনাতনী গীতা সংঘের সহ-সভাপতি হিসেবে। নানা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে কাজ করছেন এক ঝাঁক তরুণ সমাজকে নিয়ে। বর্তমানে তিনি সুযোগ পেলে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নকে আধুনিক ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি মনে করেন ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে স্থানীয় সরকারের খুব শক্তিশালী ও প্রান্তিক সেবা কেন্দ্র। তিনি বলেন ইউনিয়নের যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রান্তিক সেবা বিশেষ করে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা, জন্ম নিবন্ধন মত নানা কর্মসূচিকে খুব দ্রুত ও যথাযথ বাস্তবায়ন করা গেলে এবং ইউনিয়নের রাস্তাঘাট উন্নয়ন, অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন, মাদকমুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত পরিবেশ পরিস্থিতির তৈরি করতে পারলে এই ইউনিয়ন দেশের সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে বলে মনে করেন। তাই আগামীতে মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়নবাসীর কাছে তিনি ইউনিয়নের সেবা করার সুযোগ চেয়ে সবার কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছেন।