ফারুক আহমদ,স্টাফ রিপোর্টার।
সিলেটের বিশ্বনাথে পোঁকা ও ছত্রাকের আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের উঠতি ও ফসলী টমেটো ক্ষেত। অনুকূল আবহাওয়া পোকা মাকড়সহ ছত্রাকের কারনে ফসল নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।
রোদে পুড়ে বৃস্টিতে ভিজে কিস্তি, ধার দেনা করে, দিনের পর দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে অনেক আশায় বুক বেঁধে ছিলেন ওইসব টমেটো চাষীরা।
আশা ছিল টমেটো বিক্রি করে ঋণ ও ধার দেনা পরিশোধ করবেন। কিন্ত অনুকূল আবহাওয়া, পোকা মাকড় ও ছত্রাকের আক্রমণে ফসল নষ্ট হওয়াতে কৃষকের সে স্বপ্ন ভেংগে চুড়মার হয়ে গেছে।
উপজেলার লামকাজী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হাজরাই পরগনা বাজার সংলগ্ন সুরমা নদীর তীরে টমেটো ক্ষেতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কৃষকের উঠতি ও ফসলী টমেটো ক্ষেত পুরোপুরি নস্ট হয়ে গেছে।
হাজরাই গ্রামের কৃষক মো. আবু বকর (৩৫) মো. হবি উল্লাহ (৩৮), মো. গিয়াস উদ্দিন (৪০), মো. গৌছ আলী (৩৮), মো. জুয়েল আহমদ (২০) মো. আক্তার হোসেন (২৫) মো. রইছ উদ্দিন (৪৫) মো. চমরু মিয়া (৪৫) মো. রুহুল আমিন (২০) মো. শরীফ উদ্দিন (২২), মো. মকতার আলী (৪০), জাগির আলা গ্রামের মো. ফুল মিয়া (৩৮), মো. মনু মিয়া (৪৮) মো. জহির উদ্দিন (৪২), রাজাপুর গ্রামের মো. মোক্তার আলী (৪০) এদের সাথে কথা বলে জানা যায়,তারা জমিতে উন্নত জাতের কুশিয়ারা কোম্পানীর “রাজা” জাতের টমেটো রোপন করেছেন। চারা রোপনের পর থেকেই নিয়মমাফিক সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। গাছে যখন টমেটো ধরা শুরু হইছে তখন থেকে গাছ সাদা হয়ে জিমিয়ে পড়ে মারা যায় ওই সব ফসলী গাছ।
তারা বলেন ৩০ শতক জমিতে টমেটো চাষ করতে হয় খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা, প্রতি বছর খরচের টাকা বাদ দিয়ে ও লাভ হতো ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু এবছর লাভ ত দূরের কথা খরচের টাকা ও পাবো না।
টমেটো বড় হওয়ার পূর্বেই গাছ মারা যাওয়ায় ক্ষতির মুখে চাষীরা।
এবিষয়ে স্হানীয় উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কীটনাশক ভাইরাস ও পোকা মাকড়নাশক স্প্রে করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ফসল হারিয়ে হতাশ এসব ক্ষতিগ্রস্হ প্রান্তিক কৃষক।
কোন কোন টমেটো চাষীদের ভাষ্য এবছর কুশিয়ারা কোম্পানীর গুনগত মানহীন অনুন্নত বীজের কারনে এমনটা হইছে।
একদিকে ফসল হারানোর শোক অপরদিকে ঋণ পরিশোধের চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন টমেটো চাষীরা। ফসল হারিয়ে তীব্র সংকটে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্হ এসব প্রান্তিক কৃষক। তাই সংকট মোকাবিলায় চান সরকারী সহায়তা।