বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর চলমান হামলা, ভাংচুর, নির্যাতন, মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের কোন বিচার না হওয়ায় বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের খুলনা জেলা শাখার সদস্য সচিব অভিজিৎ সরকার রাহুল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিচার হীনতায় ভুগছে দেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা আমরা যদি গভীরভাবে উপলব্ধি করি, আমরা দেখতে পাবো একটি গোষ্ঠী যারা কোন না কোন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে আমাদের দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। মন্দির ভাংচুর আর একটি অপ-রাজনীতির ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। আমরা যদি যশোরের মালোপাড়া থেকে শুরু করে রামুর বৌদ্ধবিহার, নাসির নগর, আমাদের খুলনার রুপসার শিয়ালী সহ এবছর মানিকগঞ্জ, কুষ্টিয়া সহ দেশে বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত হওয়া অসংখ্য সাম্প্রদায়িক হামলার নুন্যতম বিচার কি এদেশের জনগন দেখতে পেয়েছে? একটি সময় শারদীয় দূর্গােৎসব আসলে বাংলাদেশের সনাতন ধর্ম্বাবলীরাও উৎসবের আমেজে নিজেদের মাতিয়ে রাখার জন্য প্রস্তুত হতো কিন্তু আজ শারদীয় উৎসব মানে এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাছে একটি উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার কারণে পরিণত হয়েছে।
এর কারণ খুঁজতে গেলেই আমরা দেখতে পাবো শারদীয় উৎসবকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন জঘন্যতম সাম্প্রদায়িক হামলা, যা আমাদের উৎসবের আয়োজন কে ভুলে প্রতিবাদের আয়োজন করতে বেশি ব্যস্ত করে তুলে।
গতবছরের দূর্গােৎসবে শ্রী হনুমানের পায়ের নিচে পবিত্র কোরান শরিফ রেখে হওয়া সাম্প্রদায়িক হামলা আমাদের মনে থাকার কথা। পরবর্তীতে দোষী ইকবালকে বাঁচাতে তার পাগল হওয়ার নাটক ও আমাদের অবগত।
তাই বাংলাদেশে এখন যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতীর চরম দুঃসময় অতিবাহিত হচ্ছে তা যদি মোকাবিলা করতে হয় তাহলে সরকারের প্রবল সদিচ্ছার প্রয়োজন। সাম্প্রদায়িক হামলার শতভাগ বিচার নিশ্চিত করতে পারলে এই অবস্থান থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো নতুবা এক চরম দুঃসময়ের মধ্যে থেকে আগামীর প্রজন্মকে বেড়ে উঠতে হবে।
যা কারোর জন্য শুভকর হবে না।
পরিশেষে হৃদয়ের গভীরতম অসাম্প্রদায়িক চেতনার অনুভব থেকে বাংলাদেশের চারটি মূলনীতির অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষতার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ জানাই।
কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি
তারিখঃ- ১৪/০৯/ ২২ ইং।