এম এ রশীদ সিলেট বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেট মেট্রোপলিটন ট্রাফিকপুলিশ নগরীর যানজট নিরসনে ও ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করছে। দুর্ঘটনা প্রতিরােধে প্রতিদিন নানা টিমে বিভক্ত হয়ে চেকপােস্ট বসিয়ে অবৈধ যানবাহন রেকার করছে। অথচ খোদ এই রেকার চালকের লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্র নেই। যার ফলে রেকার চালকরা নানা দুর্ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর চৌহাট্রা শহীদ শাসসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের সম্মুখে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার জন্ম দেন একজন রেকার চালক। পিছন দিক থেকে একটি প্রাইভেট কারকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দুমড়ে মুচড়ে দেন। প্রাইভেট কারের পিছনের সিটে তিনজন শিশু বসা ছিলো অল্পের জন্য তারা প্রাণে বেঁচে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারটি (ঢাকা মেট্রো-গ ১৫-৪১০২) ড্রাইভ করছিলেন একজন নারী চিকিৎসক। তিনি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে ফিরছিলেন। হঠাৎ চলন্ত কারের পিছন দিকে একটি রেকার (ঢাকা ই ৫৩৩) দ্রুত গতিতে এসে সজোরে ধাক্কা দেয় এতে প্রাইভেট কারের পিছনের গ্লাস চুর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়।
রেকার চালকের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। রেকার চালক তার নাম সামুন মিয়া বলে জানান। এসময় তার ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখতে চাইলে তিনি জানান তার কোন লাইসেন্স নেই।
স্থানীয় জনতা রেকার চালককে আটকে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে রেকার চালককে উদ্ধার করে।
বিষয়টি নিয়ে সিলেট ট্রাফিকের উপ-পুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ -এর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া রেকার চালাবে এটা কোন অবস্থায় গ্রহন যোগ্য এবং যুক্তিসঙ্গত নয়। আমি বিষয়টির খোজ নিচ্ছি।
এদিকে অন্য একটি সূত্র জানায় সিলেট মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের চুক্তিভিত্তিক দুই রেকার ( ট্রাক) ( নং ঢাকা ই ৫৩৩) ও ( চট্রগ্রাম ই ৫৮৯) রেজিস্ট্রেশন নাম্বার থাকলেও কয়েক বছর আগে থেকে এই রেকার গুলোর কাগজপত্র ফেল রয়েছে।
পর্যবেক্ষক মহল বলছেন সিলেট মেট্রোপলিটন ট্রাফিকপুলিশকে খুজে দেখতে হবে ‘সর্ষের মধ্যে ভূত আছে কি না’, তা না হলে তাদের সকল ভালো কাজ বির্তকিত হয়ে যাবে।