সরদার বাদশা নিজস্ব প্রতিনিধি।
খুলনা ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া হাইওয়ে থানা (চুকনগর) পুলিশের এক এএসআই-এর বিরুদ্ধে মহাসড়কে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৫শ’ টাকা চাঁদা না পেয়ে পিতার বয়সি ৬০ বছরের এক বৃদ্ধের গালে ধাপ্পড় মেরে দিয়েছেন এই এএসআই।
সাতক্ষীরা জেলার ইটাগাছা গ্রামের তমেজ উদ্দীন সরদারের পুত্র মোঃ সেলিম সরদার (৬০) জানান, তিনি রোববার সকালে ৫শ’ টাকার ভাড়ায় একজন রোগী সাতক্ষীরা থেকে খুলনা নিয়ে যান। রোগী রেখে বাড়ি ফেরার পথে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের মালতিয়া মোড় নামক স্থানে পৌঁছলে খর্ণিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশের এএসআই সেলিম তার গতিরোধ করেন। তিনি মাহেন্দ্র থেকে নেমে আসলে এএসআই সেলিম গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য কাছে ৫শ’ টাকা দাবি করে। কিন্তু প্রথমে তিনি ৫০ টাকা দেয়ার চেষ্টা করে সর্বশেষ ৩শ’ টাকা দিতে চান।
এসময় ৫শ’ টাকা দিতে না পারায় এএসআই সেলিম গাড়ির মামলা দিতে গেলে তিনি পা জড়িয়ে ধরেন। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয় না। উঠে দাঁড়ানো মাত্রই পিতার বয়সি ৬০ বছরের বৃদ্ধের গালে সজোরে থাপ্পড় কষে দেয় সেলিম দারোগা এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। চড় খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে মামলার কপি নিয়ে তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। মামলা ভাঙিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে তাকে আসতে বলা হলে তিনি দারোগার কথামত ২৫শ’ টাকা জরিমানা দিয়ে মামলা ভাঙিয়ে হাইওয়ে থানায় গেলে তাকে গাড়ি দিতে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ।
বিষয়টি তিনি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে আলোচনার সময় বাঁধভাঙা কান্নায় ভেঙে পড়েন। দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার কাঁন্না ভাইরাল হলে এএসআই সেলিমের এমন কর্মকান্ড এলাকায় বেশ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের কানে পৌঁছলে সাথে সাথে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ হাইওয়ে থানায় পৌঁছায় এবং বৃদ্ধ লোকটির গাড়ি ছাড়িয়ে দেন।
এ ব্যাপারে এএসআই সেলিম জানান, চাচা তার পা ধরতে গেলে তার হাত মুখে লাগে। তিনি থাপ্পড় মারেনি।
হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, আমি ফরিদপুরে জুম মিটিংয়ে আছি। আর এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
এ ঘটনার তদন্ত করার জন্য গতকাল মঙ্গলবার হাইওয়ে
সহকারী পুলিশ সুপার যশোর যোন ( এ এস পি সার্কেল) আলী আহম্মেদ হাশমী। খর্ণিয়া হাইওয়ে থানা (চুকনগর) আসেন তিনি সাংবাদিকদের বলেন ঘটনার সত্যি হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে