অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ
খুলনার কয়রায় নৌকার প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্দেশে হামলা চালিয়ে প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ সময় নৌকা প্রতীকের ৮ কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই জনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, জাকির হোসেন (২৫) ও আলমগীর (৩৬)। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিন বেদকাশি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন ওই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কবি শামসুর রহমানের ছেলে মশিউর রহমান মিলন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এবারের ইউপি নির্বাচনের তার পিতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান শামসুর রহমান দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। শনিবার সন্ধ্যায় নৌকা প্রতীকের পোস্টার টানানো ও প্রচারণার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী আছের আলী মোড়লের নির্দেশে তার লোকাজন নৌকার প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তার প্রচার মাইক ভাঙচুর করতে থাকে। এতে বাঁধা দিলে কর্মীদের মারপিট করে। এতে ঘটনাস্থলে আট জন আহত হয়। আছের আলী পুলিশ হত্যা মামলার চার্জসীটভূক্ত আসামী। এছাড়াও তার নামে অস্ত্র আইনের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের সভায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় ওই ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে আছের আলী বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা তথ্য প্রদান করে আমাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার পশাপাশি বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। নির্বাচনে নৌকার প্রাথীর বিজয় নিশ্চিৎ দেখে বিদ্রোহী প্রার্থী নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যে কারণে নৌকার প্রার্থীর নেতা কর্মিদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকী অব্যাহত রেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে বিদ্রোহী প্রার্থী আছের আলী মোড়লের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।