আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর):
কেশবপুরে মাছ শিকারের জন্য হরিহর নদে দেওয়া অবৈধ পাটা (বাঁশের বেড়া) উচ্ছেদ করলো ভ্রাম্যমাণ আদালত। হরিহর নদের কেশবপুরের শ্রীগঞ্জ ব্রীজের পাশে মঙ্গলবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে অবৈধ পাটা ও মাছ শিকারের জাল উদ্ধার করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এম এম আরাফাত হোসেন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, হরিহর নদের শ্রীগঞ্জ ব্রীজের পাশে পাটা দিয়ে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত সৃষ্টি করে উপজেলার ব্রহ্মকাটি এলাকার কবির হোসেন নামে এক জেলে জাল দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ শিকার করে আসছিল। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে সম্প্রতি তাকে অবৈধ পাটা উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অপসারণ না করলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এর আগেই ওই জেলে জাল ও মাছ শিকারের মালামাল ফেলে সটকে পড়েন। এ সময় হরিহর নদের পানি থেকে পাটা ও মাছ শিকার করার জাল উদ্ধার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সজীব সাহা, কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার ও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবীর উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে উদ্ধারকৃত জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে হরিহর নদে দেওয়া অবৈধ পাটা ও মাছ শিকার করার জাল উদ্ধার করা হয়েছে। নদ-নদীতে অবৈধভাবে পাটা দিয়ে পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্ত সৃষ্টি করে কোন ব্যক্তি মাছ শিকার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।