আজিজুর রহমান, কেশবপুর (যশোর):
আশি‘র দশকে পুলিশি বাধা উপেÿা করে যার নের্তৃত্বে যশোরের কেশবপুর শহরে বিÿোভ মিছিল হয়েছিল, যিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ প্রতিষ্ঠায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক নির্মাণে কাজ করেছিলেন, যিনি নিজে না খেয়ে সাধারণ কর্মী সমর্থকদের খাওয়ায়ে তুপ্তি পেতেন সেই অ্যাডভোকেট কেসমত আলীর খোঁজ খবর রাখে না কেউ। তিনি বর্তমান প্যারালাইসডসহ কথা বলার শক্তি হারিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস ধরে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
দেশ স্বাধীনের আড়াই বছর পর গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে স্বাধীনতা বিরোধীরা আবারও এদেশের রাষ্ট্রভার গ্রহণ করে। এসময় বঙ্গবন্ধুর নাম মুখে উচ্চারণ করার সাহস ছিল না কারও। চুরি করে ভোট কেন্দ্র গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হতো। এ পরিস্থিতির মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৎকালিন ছাত্রলীগ নেতা কেসমত আলী ছাত্রলীগ ও যুবলীগ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছিলেন। তার নের্তৃত্বে সর্ব প্রথম কেশবপুর শহরে ছাত্রলীগ বিÿোভ মিছিল করেছিল। তিনি একাধারে উপজেলা ছাত্রলীগ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এতোকিছুর পরও তিনি দলের কাছে অবহেলার পাত্র হন। যে কারণে বাধ্য হয়ে তিনি আইন পেশা বেছে নেন। সেখানেও তিনি আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছিলেন। আজীবন যিনি আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন, সেই অ্যাডভোকেট কেসমত আলীর বর্তমান খোঁজ খবর রাখে না কেউ। তিনি দীর্ঘ ৬ মাস ধরে প্যারালাইসডে আক্রান্ত। বর্তমান বোধশক্তি হারিয়ে বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। তিনি কথা বলতে না পারলেও ইশারায় অনেক কিছু বোঝাতে সÿম। পৌর শহরের বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় তার বসবাস হলেও বাড়িতে যাতায়াতের কোন রাস্তা নেই।