অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনা:
খুলনার কয়রায় পালিত হয়েছে 'সাঁওতাল হত্যা দিবস'। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মে তিন সাঁওতাল হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, খুলনা জেলা কমিটি এ ‘সাঁওতাল হত্যা দিবস’ পালন করেছে।
৬ নভেম্বর, রবিবার দুপুর ১২ টায় কয়রা বাজার মধুর মোড়ে জাতীয় আদিবাসী পরিষদের খুলনা জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক নিরাপদ মুণ্ডার সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল মুণ্ডার সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় আদিবাসী পরিষদের খুলনা জেলা কমিটি কোষাধ্যক্ষ শ্যামসুন্দর সরদার, প্রচার সম্পাদক রতন মুণ্ডা, দপ্তর সম্পাদক সাধন মুণ্ডা, সদস্য উজ্জল মুণ্ডা, দয়াল মুণ্ডা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত মুণ্ডা, সহ-সভাপতি সাধনা মুণ্ডা, সাধারন সম্পাদক মিলন মুণ্ডা, সমাজ সেবক হরমন মুণ্ডা প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা শ্যামনগরের নরেন মুণ্ডা হত্যার সুষ্ঠু বিচার সহ সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মে পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার, রিক্যুইজিশন করা আদিবাসী-বাঙালির পৈত্রিক ১৮৪২.৩০ একর জমি ফেরত, তিন ফসলি জমিতে রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) নির্মাণ বন্ধ, গুলিতে নিহত তিন সাঁওতাল পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, রংপুর চিনিকল লিমিটেড (মহিমাগঞ্জ) কর্তৃক উচ্ছেদকৃত পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং ঐ জমিতেই পুণর্বাসন করা, আদিবাসী-বাঙালিদের প্রতি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আগুনে পুড়িয়ে ফেলা আদিবাসী শিশুদের স্কুলটি পুণ:প্রতিষ্ঠা ও সরকারী করণের দাবী জানান।
এছাড়া বক্তারা আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও জমির সমস্যা নিরসনে সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশণ ও মন্ত্রণালয়ের গঠনের দাবী জানান।
কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি
তারিখ: ০৬/১১/২২ ইং।