অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনা ঃ
খুলনার কয়রায় গরু চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা শহরের হরিণটানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে কয়রা থানা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কয়রা থানার ওসি এ বি এম এস দোহা ( বিপিএম)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের মো ঃ বখতিয়ার শেখ (৩৪), একই উপজেলার ভট্টবালিয়াঘাটা গ্রামের সুজন হাওলাদার (৩৩), ফকিরহাট উপজেলার ছোট বাহিরদিয়া গ্রামের মোঃ আল আমিন কাজী (৩০) ও খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা ছোট বয়রা এলাকার সজীব রায়কে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ মার্চ কয়রা উপজেলার খিরোল এলাকা থেকে অভিনব কায়দায় তিনটি গরু চুরি করে ছোট ট্রাকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায় চোর চক্র। এর আগেও পাঁচটি গরু চুরির বিষয়ে অভিযোগ আসে কয়রা থানায়। পরপর কয়েকটি গরু চুরির ঘটনার জেরে কয়রা থানার ওসির তত্ত্বাবধানে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ইব্রাহিম আলী ও উপপরিদর্শক (এসআই) অমৃত কুমার বিশ্বাস তদন্ত শুরু করেন।
পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা শহরের হরিণটানা এলাকা থেকে চোর চক্রের চার সদস্যকে আটক করে। পরে তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী, চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান ও খুলনার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিনটি চুরি হওয়া গরু উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকায় তাঁরা পিকআপ ভ্যান নিয়ে ঘুরে ঘুরে গরুসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করতেন। গরু চুরির জন্য তাঁরা নির্জন এলাকা বেছে নিতেন। এরপর পিকআপ ভ্যানের পেছনের অংশ খুলে দিয়ে অপেক্ষা করতেন। সুযোগ বুঝে গরুর সামনের দুই পা উঁচু করে পিকআপে তুলে দিতেন। এরপর পেছন থেকে ধাক্কা দিলে গরু সহজে পিকআপ ভ্যানে উঠে যেত। বিষয়টি আড়াল করতে ট্রাকের ওপরে ছাউনি টানিয়ে তাঁরা দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যেতেন।
কয়রা থানার ওসি এ বি এম এস দোহা বলেন, আটকের পর চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই চারজনের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়েছে। চক্রটি খুলনা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের অপরাধ কর্ম পরিচালনা করে আসছিল। এ বিষয়ে পুলিশের হাতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। চক্রের অন্য সদস্যদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি
তারিখ: ১৪/০৪/২৩ ইং