মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফ, কক্সবাজার।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও থেকে ইয়াছমিন আক্তার (১৯) নামের এক প্রতিবন্ধী কলেজ ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে নিখোঁজ নাকি অপহরণ তা নিয়ে ধোঁয়াশা যেন কাটছে না পরিবারের। নিখোঁজের ৬ দিনও উদ্ধার এবং হদিস না পাওয়ায় পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের মাঝে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। নিখোঁজ ঐ ছাত্রী ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ভুতিয়া পাড়া এলাকার আবদুল আমিনের মেয়ে এবং ঈদগাঁও রশিদ আহমদ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মেয়ের বাবা আবদুল নবী বাদী হয়ে ঈদগাঁও থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেছে যার নং ৭১-তাং ০২/১০/২১। ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর সকালে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশ্য বের হয় বের হয় মেয়ে। যথাসময়ে বাড়িতে ফিরে না আসলে আত্মীয় স্বজনসহ সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেন। কিন্তু নিখোঁজের ৬দিন পেরিয়ে গেলেও খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিখোঁজ ডায়েরিতে পিতা বর্ণনা দেন কলেজে যাওয়ার সময় তার পড়নে সেলোয়ার-কামিজসহ সাদা এপ্রোন ছিল। গায়ের রং ফর্সা, মুখাকৃতি গোলাকার, লম্বা আনুমানিক ৫ ফুট। সে কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। ঐ সময় তার হাতে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ছিল তাতে ০১৬১২৯১৯৪২২,০১৮৩১৬৪৬৬০৯ নম্বরের দুটি সিম ছিল। এদিকে মেয়ের সন্ধানে বাবা আবদুল আমিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছে। বাকরুদ্ধ হয়ে তিনি তার প্রতিবন্ধী কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে উদ্ধার করতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অপরদিকে নিখোঁজ নাকি অপহরণের শিকার তা নিয়ে চলছে কানাঘুঁষা । স্থানীয়রা জানান, কোনো নারী পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়ছে নাকি স্বেচ্ছায় নিখোঁজ রয়েছে তা বুঝা যাচ্ছে না। প্রশাসন চেষ্টা করলে তাকে উদ্ধার করতে পারে বলে মত দেন তারা৷ স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার কামাল উদ্দিন নিখোঁজের বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান। ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবদুল হালিম বলেন, একটি নিখোঁজ ডায়েরি জমা দিয়েছে ভিকটিমের বাবা। ডায়েরির সূত্র ধরে পুলিশ কাজ চালাচ্ছে।