২৫শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।১২ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

২০০ কেজি ভায়াগ্রা পাউডার আটক করলো বেনাপোল কাস্টম হাউস

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর)প্রতিনিধি: বেনাপোলে প্রথমবারের মত অবৈধভাবে ভারত থেকে আমদানিকৃত ২০০ কেজি পাউডার ভায়াগ্রা চালান আটক করেছে বেনাপোল কাস্টম হাউজ।

বুধবার(২৪/০৭/১৯)তারিখ এক প্রেসব্রিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বেনাপোল কাস্টম ক্লাব এ অনুষ্ঠিত এই প্রেসব্রিফিং এর নেতৃত্ব দেন বেনাপোল কাস্টম কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী। উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, চালানটি ধরাপড়ার কিছুদিন আগে অসাধু একটি চক্রের অবাধে আমদানিযোগ্য পন্যের আড়ালে অপঘোষনার মাধ্যমে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে ভায়াগ্রা আসবে এমন একটি গোপন সংবাদ আমার কাছে এসে পৌছে। সে আলোকে সন্দেহজনক কতিপয় পন্য চালান এ দপ্তরের সতর্ক নজর দারীতে রাখা হয়। এ সন্দেহের তালিকার শীর্ষে ছিল “ফ্লেভার” ঘোষনায় আমদানিকৃত একটি পন্য চালান। চালানটি’র বিবরনীতে দেখা যায়।

আমদানিকারক- রেড গ্রীন ইন্টারন্যাশনাল, ১৫৩/৩ কাঁঠাল বাগান, ক্রিসেন্ট রোড, কলাবাগান, ঢাকা-১২০৫ (বিন নং : ০০১৪৮৬৪৩৭)। এলসি নং- ২৯৬৬১৯০১০০৩৬, তারিখ: ০২/০৪/২০১৯ খ্রি।মেনিফেস্ট নং- ১৩৬১৩ বি-বি, তারিখ: ১০/০৪/২০১৯ খ্রি।বিল অব এন্ট্রি নং- সি-২৫৫৭৭, তারিখ: ১৩/০৪/২০১৯ খ্রি।ঘোষিত পণ্য-ফ্লেভার – ৫০০ কেজি।প্রাপ্ত পণ্য- ফ্লেভার (৫০০ কেজি), সাদা পাউডার (২০০ কেজি), সিরিঞ্জ (১,৯৪,০০০ পিস) , ইমিটেশন জুয়েলারি (১১০.৭৭ কেজি), শাড়ি (৩০৩ পিস), ওড়না (১৪ পিস), কামিজ (১০ পিস), সালোয়ার (০৯ পিস), থ্রী-পিস (৩৮ পিস), শার্ট (১৯ পিস), প্যান্ট (১২২ পিস)।

দশটি অপঘোষিত পণ্য পাওয়া গেলেও এটিকে স্বাভাবিক আমদানিযোগ্য পণ্যের চালানই মনে হয়েছে। মূলত, বৈধ পণ্যের আড়ালে আমদানিযোগ্য পণ্য অপঘোষণা দিয়ে অপঘোষণার জরিমানা ও শুল্ককর পরিশোধের দোহাই দিয়ে কাস্টমস কর্মকতাদের বোকা বানিয়ে পাউডার ভায়াগ্রা পাচারের অপচেষ্টা করে।পরীক্ষা প্রতিবেদন পাওয়ার পর গোপন সংবাদ দাতা রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য তাগিদ দেন। তোলা হয় “ফ্লেভার” ও পাউডার জাতীয় পন্যের প্রতিনিধিত্বশীল নমুনা।অধিক সতর্কতার জন্য কাস্টম হাউসের নিজস্ব অত্যাধুনিক ল্যাবে রমন স্পেক্ট্রোমিটার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়।

সতর্ক পরীক্ষা শেষে ফ্লেভার সঠিক পাওয়া গেলেও ২০০ কেজি পাউডার পরীক্ষায় ভায়াগ্রার উপাদান আছে বলে সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক আকস্মিক দাবী করেন। একাধিকবার পরীক্ষা করেও একই ফলাফল পেয়ে রিপোর্ট দেন। ডঈঙ প্রদত্ত সেই রমন স্পেক্ট্রোমিটারের পরীক্ষায় ঠেকে যায় ভারত থেকে খাবারের ফ্লেভারের আড়ালে আমদানিকৃত আলোচ্য পাউডার ভায়াগ্রা।

চালানটির আমদানিকারক ও খালাসের কাজে নিয়োজিত সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজ কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।ফলে সাময়িক ভাবে সিএন্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টার প্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।