১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

১৩ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সরদার বাদশা নিজস্ব প্রতিনিধি
খুলনা বিভাগ

১৩ ডিসেম্বর ডুমুরিয়া পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ডিসেম্বর মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলা শত্রুমুক্ত ঘোষণা করা হয় এই দিনে।দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল সকালে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ স্মৃতি সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধান সড়কগুলোতে র‍্যালি প্রদর্শনী শেষে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক, প্রধান অতিথি ছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন পারভীন রুমা,
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম,সহ-সভাপতি উত্তম মন্ডল , অশোক দেবনাধ , রিক্তা রায়,রাকিবুল ইসলাম ( পিন্টু )সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাতাব হোসেন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম লিপু, দপ্তর সম্পাদক লালন সোহাগ আলম বাপ্পি, অর্থ সম্পাদক জয়দেব কুমার সাহা, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কমলেশ মন্ডল, তাপস তরফদার, সদস্য মোড়ল আখতারুজ্জামান (বাবলু) এ সময় বক্তব্য রাখেন ডুমুরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল ইসলাম মানিক ডুমুরিয়া মুক্তদিবস হিসেবে ঘোষণার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে ১০ ডিসেম্বর কপিলমুনি মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর আমরা যারা ডুমুরিয়ার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম তারা ডুমুরিয়ায় ফিরে আসি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ডুমুরিয়া থানায় স্থাপিত মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটি আক্রমণ করার। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখি মিলিশিয়া বাহিনী পালিয়ে গেছে। তখন উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় মিছিল করে এবং আমরা ডুমুরিয়াকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করি। তিনি আরো বলেন, যখন দেখি সারাদেশে বিভিন্ন অঞ্চল শত্রুমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে তখন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়। আমরাও তো ’৭১ সালে ডুমুরিয়ায় শত্রুমুক্ত এলাকা ঘোষনা করি। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর। অথচ সেই দিনটির কথা অনেকেই জানেন না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এটি একটি ঘটনা। কিন্তু নতুন প্রজন্মকে তা জানাতে হবে। তিনি বলেন, বয়স বেড়েছে। প্রকৃতির নিয়ম অনুয়ায়ী বেশি দিন হয়তো বাচঁবো না। মুক্তিকালিন সময়ে এই ডুমুরিয়ার চুকনগরে ২০ মে ঘটে ভয়াবহ ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। যা দেশের সবচেয়ে বড় গণহত্যা বলে জানা যায়। তিনি বলেন, ডুমুরিয়া এলাকার খর্ণিয়া, বানিয়াখালী, কাপালিডাঙ্গা, কাকমারী, শলুয়া এবং ডুমুরিয়া-বটিয়াঘাটা উপজেলা সীমান্ত বারোআড়িয়ায় রাজাকারদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ হয়। সেই ডুমুরিয়া শত্রুমুক্ত হয়েছিল ১৩ ডিসেম্বর যা অনেকেই জানেন না। নিজের কর্তব্য ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে ২০১১ সালে প্রথম দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয়া হয়। তার পর থেকে আড়ম্বর সহকারে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।