১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

হাতীবান্ধা থানার অন্দরমহলে টর্চার সেল!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

হাতীবান্ধা থানার অন্দরমহলে টর্চার সেল!
মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ: হাতীবান্ধা থানা যেন এক রহস্যময়। বর্তমান সময় থানার অন্দরমহল ব্যবহৃত হচ্ছে টর্চার সেল হিসেবে। যারা একবার মামলায় থানার অন্দরমহলে গেছেন তাদের অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। স্থানীয়রা সাংবাদিকদের বলছেন, সেবামূলক না হয়ে উল্টো জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে থানা।

নাগরিক সেবা নয়, ভোগান্তি নির্যাতন আর ভীতি তৈরি করে রাখাই যেন এই থানার একমাত্র উদ্দেশ্য। পারতপক্ষে থানার আশপাশে কেউ আসতে চান না। কারণ যারা একবার এর অন্দরমহলে গেছেন তারা কেউ হয়রানির শিকার হয়েছেন, কেউ পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কেউ হয়েছেন সর্বশান্ত। আর এবার টাকা না দেওয়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় হিমাংশুকে।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পূর্ব কাদমা মালদহপাড়ার বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে বিশ্বেশ্বর বর্মণ অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের দাবি করা এক লাখ টাকা না দেওয়ায় হিমাংশু বর্মণকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার ভাষ্য, টাকা না দিলে ‘স্ত্রী হত্যা’র অভিযোগে পুলিশ তার ছেলেকে জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছিল। যদিও পুলিশের দাবি, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আটক হওয়া হিমাংশু থানার একটি কক্ষে আত্মহত্যা করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে হিমাংশুর শোবার ঘর থেকে তার স্ত্রী সবিতার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে হিমাংশু ও তার ১৩বছর বয়সী মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে বিকেলে হিমাংশুর মৃত্যুর সংবাদ পান তারা। পুলিশের ভাষ্য, গলায় তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হিমাংশু।

তবে বিশ্বেশ্বর বর্মণের ভাষ্য, শুক্রবার দুপুরে ছেলেকে থানায় দেখতে গেলে পুলিশ তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে পারলে ছেলে ও নাতনি পিংকীকে ছেড়ে দেওয়া হবে; নতুবা তাদের জেলে পাঠানো হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, থানা থেকে ফেরার আগে ওই দিন বেলা দেড়টার দিকে হিমাংশুর সঙ্গে সর্বশেষ দেখা হয় তার। তখন হিমাংশু জানায়, পুলিশ তার কাছেও এক লাখ টাকা দাবি করেছে। টাকা না দিলে তাকে ও তার মেয়েকে জেলে পাঠিয়ে দেবে বলেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে হিমাংশুর স্ত্রী সাবিত্রী রানী ওরফে সবিতা রানী নিজ বাড়িতে খুন হয়েছেন বলে জানতে পারেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে তারা ছুটে এসে হিমাংশুকে তার স্ত্রীর মরদেহের পাশে দেখতে পান। পরে হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম ওই লাশসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিমাংশু ও তার বড় মেয়ে পিংকীকে থানায় নিয়ে আসেন। বিকেলে তারা হিমাংশুর মৃত্যুর খবর পান। তাদের দাবি, পুলিশী নির্যাতনেই হিমাংশু মারা গেছেন। সুষ্ঠু তদন্ত হলেই সত্য প্রকাশ পাবে।

এ নিয়ে রোববার “লালমনিরহাটে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।