শহিদুল ইসলাম, সোনাগাজী
আসন্ন সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীরা।
গণসংযোগে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে দুইবার করোনা মহামারীর কারণে এই পৌরসভায় ভোট গ্রহনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়। সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণার পর প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েন। এখানে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদের মধ্যে বাংলাদেশ আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন ( নৌকা প্রতিক),
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্যাবসায়ী আবু নাছের (মোবাইল ফোন), ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ’র প্রার্থী হাফেজ মো. হিজবুল্লাহ (হাতপাখা) ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ সেলিম (পানির জগ) প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া সাধারণ ৯ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৩ জন, সংরক্ষিত ২টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ২ নং মহিলা ওয়ার্ডে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাসলিমা আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
আ.লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট রফিকুল
ইসলাম খোকন বলেন, তাঁর গণসংযোগে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। পৌরসভার জনগণ দলমত নির্বিশেষে তাঁর নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। এখন সময় এসেছে জনগণ ভোটের মাধ্যমে আ.লীগের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন আমি শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ভোর চাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, করোনাকালীণ সময়েও নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন, বর্তমানেও আছেন ভবিষ্যতেও থাকবেন, পূনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরসভার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভায় রূপান্তর করবেন।
এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাছের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটতে পারে।
ইসলামি আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী হাফেজ মো. হিজবুল্লা বলেন, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা চলেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাইনুল হক বলেন, তৃতীয় দফায় তারিখ ঘোষণার পর ভোটার ও প্রার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। সকল প্রার্থী শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনি প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রথমবারের মত সোনাগাজী পৌরসভার নির্বাচন ইভিএম (ইলেক্ট্রিক ভোটিং মেশিনের) মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণকারীদেরও প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, ভোটার ও প্রার্থীদের উৎসবমুখর বিরামহীন প্রচারণায় জনমনে সন্তোষ বিরাজ করছে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ছাড়া এখন পর্যন্ত নির্বাচনি কোন সংঘাত ঘটেনি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সকল প্রার্থীর সাথে পৃথক আলোচনা করা হয়েছে। জনগণকে একটি শান্তিপুর্ণ নির্বাচন উপহার দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
Leave a Reply