১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

সোনাগাজীতে চিহ্নিত ভূমিদস্যু সোলায়মান’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি :

ফেনীর সোনাগাজীতে চিহ্নিত ভূমিদস্যু মো. সোলায়মান’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকগণ। শুক্রবার বিকালে উপজেলার চর সাহাপুরে সোনাগাজী মুহুরী প্রজেক্ট আঞ্চলিক মহাসড়কে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। তার বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সরকারি মৎস্য খামার ও বিভিন্ন ভূমি মালিকদের ১০একরের অধিক জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।

 

মানববন্ধনে ভুমি মালিক মাস্টার রফিকুল হক বলেন, ১৯৮৭ সালে মুহুরী রেগুলেটর হওয়ার পর থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. সোলায়মান পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১০একর জমি দখল করে মৎস্য খামার তৈরী করেন। এর পর থেকে আশপাশের ভুমি মালিকদের জমি চলেবলে কৌশলে দখল করেন তিনি। আমার এক একর জমি জবর দখল করেছেন। আদালতে একাধিক মামলায় পরাজিত হওয়ার পরও সে দখল ছাড়েনি।

 

আবদুল হক বাবুল নামে এক ভুমি মালিক বলেন, সোলায়মান একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। সে দিঘী খননের সময় আমার দেড় একর জমি দখল করেছে। ভুয়া দলিল সৃজন করে উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। সোলেমানের বিরুদ্ধে জাফর আলী জামে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে।

 

ফরিদ মহাজন নামে ক্ষতিগ্রস্ত এক ভূমি মালিক বলেন, আমার পৈত্রিক দুই একর ৬৪শতক ২০০৪সালে রাতের আঁধারে দখল করে নেয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু সোলায়মান। এ ব্যপারে কয়েকটি মামলা আদালতে বিচারাধীন। ভুমি মালিক ও সংবাদকর্মী গাজী হানিফ বলেন, আমাদের পৈত্রিক জমিতে বসতবাড়ি নির্মান করে ভোগ দখলে আছি। হঠাৎ রাতের আঁধারে গাছ লাগিয়ে বসতবাড়ি ও চলাচলের রাস্তা দখলের পায়তারা করছেন।

 

একই ভাবে আবদুল হক, শফি উল্যাহ, নজরুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন মেম্বার, বজলের রহমান, এম নাছির উদ্দিন, মো. খোকন নামের ভুমি মালিকদের জমি সে দখলে রেখেছে।

 

স্থানীয় কয়েকজন কৃষক ও ডাক্তার বাড়ীর বাসিন্দাগণ জানান, সোলেমান গাছ লাগিয়ে ও লোহার গেইট দিয়ে দীর্ঘদিনের জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন ভূমিদস্যু সোলায়মান। এতে তাদের যাতায়াতে সমস্যা হয়।

 

এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুন্নবী ও খামার ব্যবস্থাপক মোস্তফা জামান জানান, পাউবো সরকারি মৎস্য প্রকল্পের জন্য প্রায় ৩৬. ৫৭একর জমি ইজারা দিয়েছে। এর বাহিরে জনগনের চলাচলের সুবিধার্থে এক একর জমি রাখা হয়েছে । সেখানে পাউবো সড়ক নির্মান করেছে, সেই সড়ক দখল করা বেআইনি। ক্ষতিগ্রস্ত মালিকগণ তাদের ভুমি উদ্ধারে ফেনীর জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

অভিযোগ অস্বীকার করে সোলেমান জানান শুধু মাস্টার রফিকুল হকের সাথে এক একর জমি নিয়ে বিরোধ আছে। বাকী কারো সাথে কোন বিরোধ নেই।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।