১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।সোমবার

সুদানের রাজধানী খার্তুমে (টিএমসি) বাহিনীর হামলায় নিহত -৬০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আন্তর্জাতিক ডেক্স:আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় দেশ সুদানের রাজধানী খার্তুমে সামরিক বাহিনীর অতর্কিত হামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন নিহত হয়েছেন।

দেশটির সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের সামনে অবস্থানরত নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর ট্রানজিশনাল মিলিটারি কাউন্সিল (টিএমসি) বাহিনীর হামলায় এ ঘটনা ঘটে।

বুধবার বিক্ষোভকারীদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের ক্ষমতাচ্যুতের পর এখন পর্যন্ত ১০০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা চালায় টিএমসি বাহিনীর সৈন্যরা। সেসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোকেও বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

দেশটির মেডিকেল বোর্ড জানায়, সোমবার সামরিক বাহিনীর হামলার পর নাইলে ৪০ জনের লাশ পাওয়া গেছে। এর আগে বিক্ষোভ শুরু হলে সামরিক বাহিনীর হামলায় ২০ জন নিহত হয়।

পরে মঙ্গলবার টিএমসি নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান জানান, আগামী ৯ মাসের মধ্যেই দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিল। সামরিক বাহিনীই তাদের ওপর হামলা চালিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে।

এ হামলার পর থেকেই সুদানের সামরিক বাহিনীর প্রতি নিন্দা জানিয়ে আসছে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

বুধবার টিএমসি নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান দেশটির সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিএমসি বাহিনীর সদস্যদের হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ততেই ফিরে যেতে রাজি আছি।

দারিদ্র্যপীড়িত সুদানে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকেই রুটি ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে দেশটির রাষ্ট্রপতি বশির আল-ওমরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনীর বলপ্রয়োগের কারণে এই বিক্ষোভ উল্টো তার পতনের দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নেয়।

গত ৬ এপ্রিল থেকে খার্তুমে সামরিক বাহিনীর সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা। এসব ঘটনার জেরে ১১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বশিরের পদত্যাগ ঘোষণা করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে আনন্দে মেতে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। তবে সে আনন্দ ছিল কিছু মুহূর্তের মাত্র। কারণ বশিরের পদত্যাগের পর ক্ষমতা নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী।

পরে সামরিক বাহিনীকে বশিরেরই অংশ হিসেবে দাবি করে ফের বিক্ষোভ করতে থাকে আন্দোলনকারীরা।

১৯৮৯ সালে সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থাকাকালে বশির আল-ওমর ‘অভ্যুত্থান’ ঘটিয়ে তৎকালীন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সাদিক আল-মাহদীকে উৎখাত করেন।

পরে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করেন তিনি। কয়েকবছর ধরে তার বিরুদ্ধে ‘সামরিক অভ্যুত্থান’ চেষ্টা হয়েছিলো। কিন্তু সেসব উতরে ৩০ বছর ধরে দারিদ্র্যপীড়িত দেশটির ক্ষমতায় আসীন ছিলেন তিনি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।