৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

সিলেট বিএনপিতে হঠাৎ শুরু হয়েছে ব্যাপক তোড়জোড়।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এ রশীদ সিলেট বিভাগীয় ব্যুরোচীফঃঃ

 

গত সপ্তাহে ঢাকায় গিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিলেট বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ওই বৈঠকে সিলেট বিএনপিকে সাজাতে একটি রূপরেখা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই আলোকে এখন কাজ শুরু করা হবে।

 

সিলেট জেলা বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছিল ২০১৯ সালের অক্টোবরে। ওই সময় মাত্র তিন মাসের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিকে ভেঙে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। নতুন আহ্বায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল কামরুল হুদা জায়গীরদারকে। কমিটি গঠনের পর কাজও শুরু করেছিলেন সিলেটের নেতারা।

গত বছরে করোনাকাল শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত জেলার নেতৃবৃন্দ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠনে কাজও শুরু করে দিয়েছিলেন। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর ১৮টি ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এরপর করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে কেন্দ্রের নির্দেশে তারা সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। বর্তমানে কেনো বিধিনিষেধ না থাকায় ফের সরব হয়েছেন নেতারা।

 

বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, করোভাইরাসের কারণে আটকে গিয়েছিল সকল কার্যক্রম। এখন সব কিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। এ কারণে সিলেট জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটিকে আর সময় দিতে চান না কেন্দ্রীয় নেতারা। আগামী নভেম্বরে দেয়া হয়েছে সময়সীমা। এই সময়ের মধ্যে সিলেট জেলা বিএনপি’র কাউন্সিল শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঝুলে থাকা ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার তাগিদ দেয়া হয়েছে।

 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট সফরে আসেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড জাহিদ হোসেন। তার উপস্থিতিতে গত শনিবার সিলেট জেলা বিএনপির আয়োজন করে বর্ধিত সভার। এ সভায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছাড়াও স্থানীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন- ‘আর সময়ক্ষেপণ করা যাবে না। অক্টোবরের মধ্যেই অসমাপ্ত ওয়ার্ডসমূহ, ইউনিয়ন, পৌরশাখা ও উপজেলা বিএনপি’র সম্মেলন শেষ করতে হবে। নভেম্বরের মধ্যেই জেলা বিএনপি’র কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে।’

 

এ ছাড়া কাউন্সিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য বেশ কিছু দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন।

 

সিলেট জেলা বিএনপি’র নেতারা জানিয়েছেন, তারা দলের ভেতরে গণতন্ত্র চান। এজন্য তারা কাউন্সিলের মাধ্যমে সকলের মতামতের ভিত্তিতেই কমিটি গঠন করবেন। স্থানীয় নেতারাই তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। এখানে কেউ হস্তক্ষেপ করবে না। এতে করে দলের ভেতরে শক্তি ফিরে আসবে।

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেছেন- ‘বিএনপি একটি বড় দল। তাই এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে সেটা যেন প্রতিহিংসায় রূপ না নেয় সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে। সামনে আমাদেরকে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। সেজন্য একটি ঐক্যবদ্ধ সুসংগঠিত তৃণমূল বিএনপি গড়ে তুলতে সবাইকে ভেদাভেদ ভুলে কাজ করতে হবে।’

 

সিলেট জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার জানিয়েছেন- ‘দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে আমরা কাঙ্ক্ষিত সময়ের মধ্যে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারিনি। তবে দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া থেমে থাকেনি। করোনাকালে বিএনপি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তিনি জানান- ‘দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়াও দ্রুত এগিয়ে চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা ইউনিয়ন, পৌর ও উপজেলা সম্মেলন সফল করবো। এরপর জেলা কাউন্সিল সম্পন্ন করবো।’

 

এদিকে খুব শিগগিরই মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা জানিয়েছেন, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাউন্সিলের আয়োজন করা হবে। তার আগে মহানগরেও ঢেলে সাজানো হবে দলকে। ওয়ার্ড পর্যায়ে সম্মেলন ও কাউন্সিলের আয়োজন করা হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।