৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

সিলেট ওসমানীতে রোগীর বাবাকে পেটাল আনসার সদস্যরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এ রশীদ সিলেট থেকে ::

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর এক বৃদ্ধ বাবাকে পিটিয়ে আহত করেছে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা। গত ২৩ অক্টোবর ঘটলেও চিকিৎসাধীন থাকায় সেবা পেতে ভোগান্তি হবে জেনে কাউকে ঘটনাটি জানাননি তিনি। তবে সরকারের একটি সেবাদানমূলক প্রতিষ্ঠানে এভাবে আনসার সদস্যদের বেধড়ক মারধরে আহত হওয়ায় এবং মানহানির বিচার চেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।

 

অভিযোগের একটি অনুলিপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের কাছেও দিয়েছেন তিনি।

 

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী জানান, ‘দুই সপ্তাহ থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি। গত ২৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসকরা পরিদর্শনের সময় নার্স আমার স্ত্রীকে জানান, রোগীর ড্রেসিংয়ের জন্য হ্যান্ড গ্লাভস বাইরে থেকে নিয়ে আসার জন্য। আমার স্ত্রী বিষযটি জানালে আমি দ্রুত বাইরে থেকে হ্যান্ড গ্লাভস কিনে ওয়ার্ডের ভেতরে নিয়ে যেতে চাইলে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা আমাকে বাধা দেন।

 

ভেতরে আমার মেয়ে চিকিৎসাধীন দ্রুত যেতে হবে জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে আনসার সদস্য রুবেল, আল আমিন ও হাবিব আমাকে মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে মাটিতে ফেলে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটতে শুরু করে। প্রতিবাদ করলে মারধরের পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। পরে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে আমাকে উদ্ধার করেন।

 

ভুক্তভোগী বলেন, একটি সেবাদন প্রতিষ্ঠানে এভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হবে কল্পনাও করিনি। রোগী নিয়ে দুই সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে অবস্থান করায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তার ওপর আনসার সদস্যদের মারধরের কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।

 

ভুক্তভোগীর মেয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেবা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন ভেবে ঘটনাটি তাৎক্ষণিক কাউকে জানাননি। এমনকি লোক লজ্জার ভয়ে নিজের পরিচয় প্রকাশ করতেও পারছেন না তিনি।

 

এ ব্যাপারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আবুল কালাম বলেন, এ ধরণের কোনো অভিযোগ পাইনি। প্রতিদিন অসংখ্য অভিযোগ আসে এর মধ্যে এই অভিযোগ থাকলেও সেটা ভালো করে দেখা হয়নি।

 

তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এখানে দু’পক্ষের দোষ থাকতে পারে। আনসার সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা লিখিত অভিযোগ হাতে এলে তদন্ত করে দেখা যাবে।

 

আনসার ভিডিপি সিলেট জেলা কমান্ড্যান্ট এনামুল খান বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। রোগীর স্বজনকে এভাবে মারধর মোটেই কাম্য নয়। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগের একটি অনুলিপি আমার বরাবরে পাঠালে অবশ্যই তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

 

তিনি বলেন, ওসমানী হাসপাতাল ক্যাম্পে কর্মরত আনসার সদস্যদের প্রায়ই এই বিষয়টি বলা হয়। যাতে রোগী এবং তাদের স্বজনদের ভালো ব্যবহার করতে। তারপরও এধরণের ঘটনা অপ্রত্যাশিত।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।