১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

সিলেটে সার্কিট হাউজের পাশেই চলছে মাদক সেবন-বিক্রি : নেই কোন প্রতিকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম,এ,রশীদ সিলেট থেকে :

সিলেট কোতোয়ালী থানা ও বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশের নাকের ডগায় চলছে রমরমা মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়। কিন্তু এসব অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা একদম নিরব। শুধুমাত্র মাদক সেবন ও বিক্রিতেই ক্ষান্ত নয় এসব মাদক কারবারিরা। তারা রাতে মাতলামিসহ ছিনতাই ও চুরির মতো ঘটনা ঘটিয়ে নিজেদের পুঁজি সংগ্রহ করে চলছে। এতে দিন দিন ভোগান্তিতে পড়ছেন নগরবাসীসহ সিলেটে বেড়াতে আসা বিভিন্ন পর্যটক।

জানা যায়, সিলেট নগরের সংযোগ সেতু ক্বিন ব্রিজের উত্তর পারে আলী আমজদের ঘড়ি ঘর সংলগ্ন স্থানে এসব মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের একটি নিরাপদ আস্তানা গড়ে তুলেছে মাদক কারবারিরা। তারা ক্বিন ব্রিজের নিচে প্রকাশ্য দিবালোক ও রাতে এসব অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। যা অবশ্যই সিলেট কোতোয়ালী থানা ও বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির জানা থাকার কথা।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ক্বিনব্রিজের নিচ দিয়ে সার্কিট হাউজের পাশের রাস্তা ধরে দৃষ্টি নন্দন নদীর তীরের দিকে হেঁটে গেলেই যে, কারো নজরে পড়বে সার্কিট হাউজের দেয়াল ঘেষা ফুটপাতে কয়েক জন দেহ ব্যবসায়ী নারী খদ্দেরের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। দিনের বেলা এরা ব্রিজে নিচে অবস্থান করে। একজন খদ্দের পেলেই দেহ ব্যবসায়ী নারীরা ঢুকে যান খদ্দের নিয়ে অন্ধকার নোংরা ব্রিজের নিচে। এই দেহ ব্যবসায়ী নারীদের খদ্দের অধিকাংশ নিম্ন শ্রেণীর পুরুষ ও উঠতি বয়সি যুবকরা। প্রতিদিন চলছে এভাবে অসামাজিক কার্যকলাপ।

দিনের আলো কিংবা রাতের আধারে সার্কিট হাউজের দেয়াল ঘেষা ফুটপাত যেন উন্মুক্ত প্রস্রাব খানা। আর রাস্তার দু-পাশ যেন গাজা সেবনের নিরাপদ স্থান। এই পথ ধরে হাটলেই যে কোন সময়, যে কারো চোখে পড়বেই লাইনে দাঁড়িয়ে ফুটপাতের পথচারী, দোকানী, রিক্সা কিংবা ভ্যান ড্রাইভারদের প্রস্রাব করার দৃশ্য। আর নাকে ভেষে আসবে গাঁজা সেবনের ঝাঁঝালো গন্ধ। যদিও প্রশাসনের কারো নজর পরেনা। অথচ এই রাস্তা ধরে প্রতি নিয়ত সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের গাড়ি চলাচল করে।

সিলেট মহানগরের ইতিহাস ঐতিয্যের ক্বিনব্রিজ, দেশের দীর্ঘতম সুরমা নদী, আলী আমজাদের ঘড়ি, পীর হাবিবুর রহমান লাইব্রেরী, সারদা হল, দৃষ্টিনন্দন সিলেট সার্কিট হাউজকে ঘিরে লেগে থাকে দিন রাত দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীড়। এখানে বেড়াতে আসা হাজার হাজার পর্যটক গাজার ঝাঁঝালো গন্ধে বিরক্ত হোন। এবং পরিবার পরিজন নিয়ে আসা এসব পর্যটকরা সন্ধ্যার পরে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা দেখে লজ্জিত হয়ে চেহারায় বিরক্ত প্রকাশ করেন। যা সিলেট মহানগরবাসীর জন্যও লজ্জা। ক্বিনব্রিজের নিচের অংশ মাটি দিয়ে ভরাট করে দিলে অসমাজিক কার্যকলাপ বন্ধ হবে বলে মনেকরেন সুধিজন।

সিলেটের প্রবেশ দ্বার নামে খ্যাত ঐতিহ্যবাহী ক্বীনব্রিজ নিচে সকল অপকর্ম ও অসমাজিক কার্যকলাপ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সিলেটের সচেতন জনগণ। তাদের দাবি, সন্ধ্যার পর এসব এলাকায় টহলরত পুলিশ একটু সচেতন হলেই এই সমস্যা থেকে উত্তরণ পাওয়া সম্ভব। টুকাই ও মাদকসেবীদের জমায়েত হতে না দিলে বা ক্বিনব্রিজ সংলগ্ন স্থানে তাদের আস্তানা ভেঙে দিলে এসব অপরাধ কর্মকান্ড রোধ হয়ে যাবে। এজন্য তারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।