এম এ সিলেট রশীদ বিশেষ প্রতিনিধিঃঃ
সিলেটে দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৯) হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত নীল রঙয়ের পালসার মোটরসাইকেলটি (সিলেট ল-১১-৬৬১৮) উদ্ধার করেছে সিআইডি।
সোমবার (৮ নভেম্বর) মামলার আরেক আসামি অলিদ রহমান সানির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, রিমান্ডে থাকা অলিদ রহমান সানি সোমবার হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের বিষয়ে তথ্য জানায়। পরে তার দেখানো স্থান থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডি সিলেট জোনের উপপুলিশ পরিদর্শক ও এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিপন কুমার বলেন, ‘রিমান্ডে থাকা মামলার এজহারনামীয় আসামি সানির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার তার বাড়ির পেছনে থাকা গ্যারেজ থেকে আমরা মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়’
গত ২১ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে আরিফুল ইসলাম রাহাত তার চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি কলেজে যান। কলেজ থেকে বের হওয়ার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহত আরিফুলের চাচা শফিকুর ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও সাতজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজহারনামীয় আসামিরা হলেন, দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানা এলাকার সিলাম পশ্চিমপাড়ার আব্দুস সালামের ছেলে সামসুদ্দোহা সাদি, একই এলাকার জামাল মিয়ার ছেলে তানভীর আহমদ ও দক্ষিণ সুরমার তেতলি ইউনিয়নের ওলিদুর রহমান সানী।
পরে গত ২৭ অক্টোবর রাতে সিআইডির একটি টিম কুষ্টিয়া থেকে প্রধান অভিযুক্ত একই কলেজের ছাত্র শামসুদ্দোহা সাদীকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৮ অক্টোবর সকালে ঘটনায় ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করে সিআইডি। এদিকে গত ৪ নভেম্বর মামলার আরেক আসামি অলিদ রহমান সানি আদালতে আত্মসমর্পন করেন। এ সময় সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমাণ্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত দুইদিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন।
Leave a Reply