২৭শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১২ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

সিলেটে পণ্যের দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই ডেক্স: সিলেটসহ দেশের কোথাও কোনো ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সংকট নেই। সব ধরনের পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ দেশে রয়েছে। খোদ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিই এমন তথ্য জানিয়েছেন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে। কিন্তু একটি অসাধু চক্র করোনাভাইরাসের অজুহাতে সিলেটের দু-একটি জায়গায় বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। ব্যবসায়ীদের এই অসাধু চক্রটি পণ্য সংকটের অজুহাত দিয়ে ঢালাওভাবে মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে- এমন তথ্য আছে গোয়েন্দাদের কাছে।

এসব অসাধু ব্যবসায়ী চক্রকে রুখতে মাঠে নামছে সিলেট জেলা প্রশাসন। তাদের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, কেউ অহেতুক পণ্যের দাম বাড়ালে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। যারা পণ্য মজুদ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াবেন, তাদেরকে বিপদেই পড়তে হবে- এমন আভাস মিলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানিতে কোনো প্রভাব পড়েনি। দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পণ্য বেশি রয়েছে। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

জানা গেছে, চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজসহ সব ধরনের পণ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও সিলেটে একটি চক্র কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এসব পণ্যের দাম বাড়াতে চাইছে। জেলা প্রশাসনের কাছেও এ বিষয়ে তথ্য আছে। ফলে জেলা প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘পণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়ে আমাদের কাছেও তথ্য আছে। কয়েক দিন আগে একটি চক্র মাস্কের দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা তাদের বিরুদ্ধে টানা অভিযান চালিয়েছি। এবার অন্যান্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেষ্ট আছি।’

তিনি বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করতে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টায় আমরা বৈঠকে বসছি। বৈঠকে বাজার কর্মকর্তা, চেম্বারের প্রতিনিধিসহ সবাই থাকবেন। সবার পরামর্শ অনুসারে আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামবো।’

সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ব্যবসা-বাণিজ্য শাখা) হাছিবুর রহমান  বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ করছি, প্রয়োজন অনুসারে বাজারে অভিযানও চলে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।