২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

সিলেটে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার স্থাপন আগামী মার্চ থেকে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এ রশীদ সিলেট থেকে।

 

নগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৫০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা

 

সিলেটে আগামী ২০২২ সালের মার্চ থেকে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে। প্রাথমিকভাবে সিলেট সিটি করপোরেশন ও আশপাশ এলাকায় ৫০ হাজার প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মূল্যবান জাতীয় সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাসের অপচয়রোধ, সাশ্রয়ী দক্ষ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষে সিলেট সিটি করপোরেশন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সংযোগকৃত আবাসিক গ্রাহকদের প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় জরিপ কাজ শুরু হবে। আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে পর্যায়ক্রমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন শুরু হবে।

 

সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন জালালাবাদ গ্যাসের আওতাভুক্ত আবাসিক গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার সার্ভিস চালু করতে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে জালালাবাদ গ্যাস। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় ১১৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রাথমিকভাবে সিলেট নগরের ৫০ হাজার গ্রাহক প্রিপেইড গ্যাস মিটার পাবেন। এ প্রকল্প সফল হলে আরও ৫০ হাজার গ্রাহককে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় তথ্যকেন্দ্র, হারানো তথ্য পুনরুদ্ধার কেন্দ্র ও অনলাইন সিস্টেমের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং সফটওয়ার স্থাপন করা হবে।

 

জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সাশ্রয়কৃত গ্যাস নতুন শিল্প কারখানায় ব্যবহার করা যাবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

জালালাবাদ গ্যাস অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জালালাবাদ গ্যাসের প্রায় দুই লাখ আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন। বর্তমানে একজন আবাসিক গ্রাহক মাসে গড়ে ৬৬ ঘনমিটার গ্যাস ব্যবহার করেন। প্রি-পেইড মিটার স্থাপন হলে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৪০ ঘন মিটার গ্যাস ব্যবহার করবেন। এর ফলে অনায়াসেই ২৬ ঘনমিটার গ্যাস সাশ্রয় হবে। এছাড়া সরবরাহ লাইনের ত্রুটির কারণে গ্যাসের প্রচুর অপচয় হয়। অনেক সময় লিকেজ লাইনে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে। প্রিপেইড মিটার চালু হলে গ্যাসের অপচয় অনেকাংশেই কমে যাবে।

 

সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে একজন গ্রাহক দ্বৈত চুলার জন্য বিল দেন ৯৭৫ টাকা। প্রিপেইড মিটার স্থাপন করলে একজন গ্রাহক মাসে মাত্র ৩০০ টাকার গ্যাস ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে একজন গ্রাহকের মাসে প্রায় ৬০০ টাকা সাশ্রয় হবে।

এ বিষয়ে জালালাবাদ গ্যাস টি অ্যান্ড ডি সিস্টেম লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক (প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্প) প্রকৌশলী লিটন নন্দী সিলেট মিররকে বলেন, ‘আগামী মার্চ থেকে সিলেটে প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিটি করপোরেশন ও তার আশাপাশ এলাকায় ৫০ হাজার মিটার স্থাপন করা হবে। গ্যাসের অপচয়রোধ, সাশ্রয়ী, দক্ষ ও টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রাহকদের বাসায় যতটি চুলা রয়েছে প্রতিটির জন্য একটি মিটার স্থাপন করা হবে। বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছে ঠিক তেমন। এতে করে গ্রাহকদের ব্যয় অনেকটাই সাশ্রয় হবে।’

 

মিটার স্থাপনে গ্রাহকদের কোনো ফি দিতে হবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ধারণা করছি মিটার স্থাপনে কোনো ফি দিতে হবে না। তবে গ্রাহকের লাইনে কোনো লিকেজ থাকলে সংস্কারের ব্যয় গ্রাহককে দিতে হবে।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।