এম এ রশীদ সিলেট থেকেঃঃ
সিলেটে ৮ ভূয়া সাংবাদিক ও এক খদ্দে নারীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
সিলেটের বহুল প্রচারিত দৈনিক সিলেট এক্সপ্রেস পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি, রুরাল জার্নালিস্ট ফাউন্ডেশন (আরজেএফ) এর সদস্য ও বালাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ( বিএমএসএফ ) এর সদস্য মোঃ রায়হান হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের সাইবার টাইব্যুনালে এ মামলা করেন। মামলায় অননুমোদিত কয়েকটি অনলাইন পোর্টালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান (রহঃ) থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামীরা হলেন- গোয়াইনঘাট থানাধীন গুচ্ছগ্রাম এলাকার মৃত মুহিবুর রহমানের পুত্র কথিত সাংবাদিক জাকির হোসেন সুমন, শাহপরান (রহঃ) থানাধীন উত্তর বালুচর বাসা নং- ১১০ আল ইসলাহ এলাকার আওলাদ আলীর পুত্র কথিত সাংবাদিক মোহন আহমদ, শাহপরান (রহ.) থানাধীন আনন্দ ৮/এ খরাদিপাড়া এলাকার রফিকুল হাসান বাচ্চুর স্ত্রী সৈয়দা কবিরুন নেছা ও ৩১৮ , রংমহল টাওয়ার (৩য় তলা) বন্দর বাজারের অনিবন্ধীত ও অননুমোদিত কথিত অনলাইন পোর্টাল “সীমান্তের আহ্বান” এর সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি-আবুল হাসনাত, সম্পাদক- আব্দুল্লাহ সালমান, নির্বাহী সম্পাদক ও প্রকাশক- আবু তালহা তোফায়েল, সহকারী সম্পাদক- ইকরামুল হক জাবের ও হাফিজ এহসান উল্লাহ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক- আব্দুল্লাহ মাহফুজ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১নং আসামী জাকির হোসেন সুমন ও ২নং আসামী মোহন আহমদ তারা ভুঁইফোড় সাংবাদিক ও অপরাধী চক্রের সদস্য। তাদের অপরাপর আসামীগন অনিবন্ধীত ও অনুমোদিত কথিত অনলাইন পোর্টাল “সীমান্তের আহ্বান” এর সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সিলেটে অপসাংবাদিকতাসহ নানারুপ অপরাধমূলক, বেআইনী ও সমাজবিরোধী কাযকলাপ করিয়া বেড়ায়।এর ধারাবাহিকতায় ১নং আসামী কথিত সাংবাদিক জাকির হোসেন সুমন ও ২নং আসামী কথিত সাংবাদিক মোহনের প্ররোচনায় তাদের শেখানো মতো ৩নং আসামী খদ্দে নারী সৈয়দা কবিরুন নেছা মিথ্যা ভিত্তিকর ও মানহানিকর ভিডিও বক্তব্য প্রদান করলে ১নং আসামী কথিত সাংবাদিক জাকির হোসেন সুমন ও ২নং আসামী কথিত সাংবাদিক মোহন সাংবাদকর্মী রায়হান হোসেনের বিরুদ্ধে ৩নং আসামী খদ্দে নারীর সেই মিথ্যা ভিত্তিকর ও মানহানিকর ভিডিওসহ নানা রকমের বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা ছড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে সংবাদকর্মী রায়হান হোসেনের অনুমতি ছাড়া তাহার ছবি ও নাম পদবি ব্যবহার করে অনিবন্ধীত ও অনুমোদিত কথিত অনলাইন পোর্টাল “সীমান্তের আহ্বান” এর দায়িত্বশীল আসামীগন ১নং আসামী কথিত সাংবাদিক জাকির হোসেন সুমনের নিকট হইতে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে একটি বানোয়াট, বৃত্তিহীন ও মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে। যাতে সংক্ষুব্ধ হন সংবাদকর্মী রায়হান হোসেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ তাজউদ্দিন বলেন, আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে মিথ্যা ভিত্তিহীন মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও ফেইসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অপরাধ করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবুল কাশেম-এর আদালতে আমরা মামলা ফাইল করি। আদালত মামলার শুনানী শেষে তদন্তের জন্য শাহপরান (রহঃ) থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
Leave a Reply