৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

সিলেটে এবার ব্যটারিচালিত রিকশার কারখানা ও শো-রুমে অভিযান।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

এম এ রশীদ বিশেষ প্রতিনিধিঃঃ

 

সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে রোববার (৭ নভেম্বর) থেকে সিলেট নগরীতে অভিযানে নেমেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।

 

রোববার অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এদিন নগরীর সুবিদবাজারে অভিযান চালিয়ে ব্যাটারিচালিত ১২টি রিকশা জব্দ করে নগরভবনে নিয়ে যান তিনি।

 

 

 

 

সোমবারও (৮ নভেম্বর) নগরীতে অভিযান চালায় সিসিক। সিসিকের ভ্রাম্যমাণ আদালত সোমবার দিনভর নগরীর কাজিরবাজার, ঘাসীটুলা, কারিশাইল, চৌহাট্টা, আম্বরখানা ও শাহী ঈদগাহসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি টমটম ও ৩টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান খান ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিট্রেট সুনন্দা রায়।

 

 

 

এদিকে, এবার শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশা নয়, এগুলো তৈরির কারখানা ও বিক্রির শো-রুমগুলোতেও অভিযান চালাবেন সিটি মেয়র আরিফ। গত রোববার অভিযানকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ অভিযানের কথা বলেন। তিনি বলেন, এবার ব্যটারিচালিত অবৈধ অটোরিকশাগুলোর কারখানা ও শো-রুমেও অভিযান চালানো হবে।

 

মেয়র আরিফ বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে। আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে আজ থেকে অভিযান শুরু, চলবে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত। নগরীর প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এমন অভিযান চলবে। এতে কেউ বাধার সৃষ্টি করলে আদালত অবমাননা করবেন। যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন, বিশৃঙ্খলা করবেন- তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’

 

 

 

 

জানা যায়, নিষিদ্ধ হওয়ার পরও সিলেটে কয়েক হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় চলাচল করছে ইজিবাইক। অবৈধ এসব যানবাহনের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে আহত হচ্ছেন চালক, যাত্রী ও পথচারী। এসব রিকশা ও ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জের জন্যও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নগরীতে কয়েকটি সিন্ডিকেট মিলে এই ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর সাথে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বাম সংগঠনের কতিপয় শ্রমিকনেতারাও জড়িত আছেন বলে জানা গেছে। তাদের মদদেই মূলত সিলেটে চলে আসছে এই অবৈধ রিকশা ও ইজিবাইকের ব্যবসা।

 

 

 

উল্লেখ্য, এর আগেও নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে অভিযান চালায় সিসিক। জুন মাসে অভিযান শুরুর পরই ব্যাটারিচালিত রিকশা মালিক ও চালকরা আন্দোলনে নামেন। ওই সময় নগরভবনেও হামলা চালান তারা। এ ঘটনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।