১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

সাভারে গণমাধ্যমকর্মীর উপর হামলা, ৪ দিনেও মামলা রেকর্ড হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সাভারে গণমাধ্যমকর্মীর উপর হামলা, ৪ দিনেও মামলা রেকর্ড হয়নি

মোঃ শান্ত খান সাভার প্রতিনিধি

নির্বাচনী সংঘাতের ভিডিও ধারনকালে সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারী ঢাকার আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পুলিশ গরিমসি করছে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগে প্রকাশ, গত ৬ জানুয়ারী রাতে আশুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য জাকির মন্ডল ও পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী সোহাগ মন্ডলের সমর্থকদের সাথে মন্ডলপাড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হতে থাকে। এ সময় সাভারের ব্যাংক কলোনীর খলিলুর রহমানের ছেলে ও দৈনিক দেশ সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এনামুল হক শামীমের সামনে ঘটনাটি ঘটে যেতে থাকলে তিনি সংঘর্ষের ভিডিও ধারন করতে থাকেন। এ সময় দুর্গাপুরের জাকির মন্ডলের ছেলে এবং আশুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমীন মন্ডল (২২), রিপন মন্ডলের ছেলে রাজু মন্ডল (২৫), মনু মন্ডলের ছেলে দিলা মন্ডল (৫৫) সাধু বেপারীর ছেলে আসাদুল (৩০), দিলা মন্ডলের ছেলে সজল (২৫) সহ অনেকে এনামুল হক শামীমের উপর হামলা চালিয়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় সংবাদকর্মী পরিচয় দিলেও এরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং কিল-ঘুসি দিয়ে শামীমকে আহত করে।
ওই রাতেই এনামুল হক শামীম আশুলিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
দৈনিক দেশ সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এনামুল হক শামীম জানান, আমার উপর নৃশংস হামলা হওয়ার পরে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি। আমার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও পুলিশ গরিমসি করছে।
৯ জানুয়ারী (রোববার) বিকেলে এ প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন যে, আশুলিয়া থানার এসআই মামুন জাকির মন্ডলের বাড়িতে আছেন এবং সেখানে তিনি উঠানে বসে সকলের সাথে খাবার খাচ্ছেন। এ সময় সংঘর্ষের ব্যাপারে কথা বলতে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা এসেছেন জেনে ইউপি সদস্য জাকির মন্ডল ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। প্রায় ২ ঘন্টা অপেক্ষা করেও তিনি না আসায় কথা হয় তার ছেলে আল-আমীন মন্ডলের সাথে।
আশুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ছাত্র লীগের সভাপতি আল-আমীন মন্ডল বলেন, সংঘর্ষের সময় এনামুল হক শামীম সাংবাদিক কিনা, তা না জেনেই তার উপর হামলা হয়েছে। পরে জানতে পারি তিনি একজন সাংবাদিক।
আশুলিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর মামুন বলেন, আমি (রোববার) ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে, সংঘর্ষের দিন আরেক সাব ইন্সপেক্টর সজিব কুমার ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। অভিযোগের বর্তমান অবস্থা তিনি ভাল বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে আশুলিয়া থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামানকে না পেয়ে পরে তার মোবাইল ফোনে কল করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোনটি তিনি রিসিভ করেননি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।