সাভারে গণমাধ্যমকর্মীর উপর হামলা, ৪ দিনেও মামলা রেকর্ড হয়নি
মোঃ শান্ত খান সাভার প্রতিনিধি
নির্বাচনী সংঘাতের ভিডিও ধারনকালে সংবাদকর্মীর উপর হামলার ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারী ঢাকার আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা রেকর্ড করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পুলিশ গরিমসি করছে বলেও জানান তিনি।
অভিযোগে প্রকাশ, গত ৬ জানুয়ারী রাতে আশুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিজয়ী ইউপি সদস্য জাকির মন্ডল ও পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী সোহাগ মন্ডলের সমর্থকদের সাথে মন্ডলপাড়ায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হতে থাকে। এ সময় সাভারের ব্যাংক কলোনীর খলিলুর রহমানের ছেলে ও দৈনিক দেশ সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এনামুল হক শামীমের সামনে ঘটনাটি ঘটে যেতে থাকলে তিনি সংঘর্ষের ভিডিও ধারন করতে থাকেন। এ সময় দুর্গাপুরের জাকির মন্ডলের ছেলে এবং আশুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি আল-আমীন মন্ডল (২২), রিপন মন্ডলের ছেলে রাজু মন্ডল (২৫), মনু মন্ডলের ছেলে দিলা মন্ডল (৫৫) সাধু বেপারীর ছেলে আসাদুল (৩০), দিলা মন্ডলের ছেলে সজল (২৫) সহ অনেকে এনামুল হক শামীমের উপর হামলা চালিয়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এ সময় সংবাদকর্মী পরিচয় দিলেও এরা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং কিল-ঘুসি দিয়ে শামীমকে আহত করে।
ওই রাতেই এনামুল হক শামীম আশুলিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
দৈনিক দেশ সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এনামুল হক শামীম জানান, আমার উপর নৃশংস হামলা হওয়ার পরে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করি। আমার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও পুলিশ গরিমসি করছে।
৯ জানুয়ারী (রোববার) বিকেলে এ প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন যে, আশুলিয়া থানার এসআই মামুন জাকির মন্ডলের বাড়িতে আছেন এবং সেখানে তিনি উঠানে বসে সকলের সাথে খাবার খাচ্ছেন। এ সময় সংঘর্ষের ব্যাপারে কথা বলতে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা এসেছেন জেনে ইউপি সদস্য জাকির মন্ডল ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। প্রায় ২ ঘন্টা অপেক্ষা করেও তিনি না আসায় কথা হয় তার ছেলে আল-আমীন মন্ডলের সাথে।
আশুলিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ছাত্র লীগের সভাপতি আল-আমীন মন্ডল বলেন, সংঘর্ষের সময় এনামুল হক শামীম সাংবাদিক কিনা, তা না জেনেই তার উপর হামলা হয়েছে। পরে জানতে পারি তিনি একজন সাংবাদিক।
আশুলিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর মামুন বলেন, আমি (রোববার) ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তবে, সংঘর্ষের দিন আরেক সাব ইন্সপেক্টর সজিব কুমার ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। অভিযোগের বর্তমান অবস্থা তিনি ভাল বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে আশুলিয়া থানায় গিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামানকে না পেয়ে পরে তার মোবাইল ফোনে কল করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোনটি তিনি রিসিভ করেননি।
Leave a Reply