১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

সাপাহারে বিয়ের প্রলোভনে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

নওগাঁর সাপাহারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে (২৮) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই নারী ৩ জানুয়ারী সোমবার নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২ এ মামলা করেন।

মামলায় নিশ্চিতপুর থ্রী-স্টার ফিলিংস্টেশনের স্বত্বাধিকারী মিলনসহ দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি হলেন উপজেলার নিশ্চিতপুর থ্রী-স্টার ফিলিংস্টেশনের স্বত্বাধিকারী ও মাইপুর গ্রামের মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে মোঃ মিলন (২২)। অন্য দুই আসামি হলেন একই গ্রামের মৃত হাজী কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে মোঃ রেজাউল (৩৬) ও মৃত তমিজ উদ্দীন মন্ডলের ছেলে মো. বারীক (৪৬)। ওই নারীর বাড়ি নওগাঁর সাপাহার উপজেলায়।

আদালতে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি মিলন ওই নারীকে বিভিন্ন সময়ে চলার পথে বিভিন্ন ভাবে কু-প্রস্তাব দিতো। ওই নারী প্রধান আসামি মিলনের কু-প্রস্তাবে সাড়া না দিলে ১ নং আসামি ২ ও ৩ নং আসামির কু-পরামর্শে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। অতঃপর ২ ও ৩ নং আসামি ওই নারীকে প্রধান আসামি মিলনের সাথে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে ওই নারী মিলনের সাথে বিয়ের প্রস্তাবে রাজী হলে ২০২১ সালের ১১ জুন শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে মিলন, রেজাউল ও বারীক একজন অপরিচিত বয়স্ক ব্যকক্তিকে মৌলভী পরিচয়ে ওই নারীর বসতবাড়ীতে নিয়ে যায়। এসময় দোয়া পড়ে রেজাউল ও বারীককে স্বাক্ষী দেখিয়ে ওই নারীর সাথে মিলনের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ওই নারীর কাছে এভাবে বিবাহের বিশ্বাস স্থাপন করে ওই রাতে তার বাড়ীতে শারীরিক ও দৈহিক মেলামেশা করেন মামলার প্রধান আসামি মিলন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর বসত বাড়ীতে এবং নজিপুরে একটি ভাড়া বাসায় তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে মিলন। পরবর্তীতে ওই নারী বিয়ে রেজিষ্ট্রি করার জন্য মিলনকে তাগিদ দিলে আজ কাল বলে তালবাহানা করতে থাকে মিলন। অতঃপর ওই নারী গর্ভবতী হলে মামলার প্রধান আসামী মিলন মৌলভী দ্বারা বিবাহের বিষয়টি অস্বীকার করে এবং ওই নারীর গর্ভের সন্তান তার নয় বলে জানিয়ে দেয়। উক্ত কথা শুনে ওই নারী হতভম্ব ও দিশেহারা হয়ে পড়েন। প্রধান আসামি বিবাহের বিশ্বাস স্থাপন করে ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। যার ফলে মামলার বাদীনি গর্ভবতী হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য প্রধান আসামি মিলনের খোঁজ করতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।

বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট এস এম মর্তুজা মাহাতাব উদ্দীন জানান, মামলাটি গ্রহণ করে পি,বি,আই কে তদন্ত করে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।