১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

সাংবাদিকতায় দুই যুগ অতিক্রম করলেন এম, আতিকুর রহমান আখই।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মো: রেজাউল ইসলাম শাফি, কুলাউড়া(মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ

 

সাংবাদিকতায় দুই যুগ অতিক্রম করলেন কুলাউড়ার সিনিয়র সাংবাদিক এম, আতিকুর রহমান আখই। এই দুই যুগ অতিক্রম করা নিয়ে তিনি আবেগঘন এক স্মৃতিচারণ করেছেন। নিম্নে তা পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

 

সাংবাদিকতার দুই যুগ —-এম,আতিকুর রহমান আখই

সাংবাদিকতায় আমার দুই যুগ পুর্ণ হয়েছে। এই দীর্ঘ পথ চলায় অনেক চড়াই উৎরাই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে। ১৯৯৭ সালে মৌলভীবাজার জেলা সদর থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক পাতাকুঁড়ির দেশ পত্রিকার মাধ্যমেই সাংবাদিকতায় আমার হাতেখড়ি। কুলাউড়ার সিনিয়র সাংবাদিক এম মছব্বির আলী ভাই এর হাত ধরে এ মহান পেশায় যুক্ত হই। শুরুতে মছব্বির ভাই এর আন্তরিক সহযোগিতা কোন দিন ভুলতে পারবনা। আমাকে উৎসাহিত করতে অনেক সময় নিজে নিউজ লিখে আমার নামে ছাপিয়ে দিতেন। আমি ভুলে শুদ্ধে এবং সাধু ও চলিত ভাষার সংমিশ্রণে নিউজ লিখে দিতাম কিন্তু তিনি দীর্ঘ সময় নিয়ে তা সংশোধন করে পত্রিকা অফিসে পাঠাতেন এবং আমাকে নানা উপদেশ ও পরামর্শ দিতেন। উমেদ ভাই ও শেফুল ভাইয়ের সহযোগিতার কথা চিরদিন মনে থাকবে। আমি যখন সাংবাদিকতা শুরু করি তখন কুলাউড়ায় হাতেগোনা কয়েকজন সাংবাদিক ছিলেন, তাদের মধ্যে শ্রী সুশীল সেন গুপ্ত, নারু স্যার,( ইত্তেফাক ও সিলেটের ডাক) আব্দুল ওয়াহিদ, ওয়াহিদ স্যার( সংবাদ), শাকিল রশীদ চৌধুরী, (সিলেট কন্ঠ ও বাংলা বাজার) , আলা উদ্দিন স্যার (আল আমিন ও যুগভেরী), আবুল কালাম আজাদ ও নিপ্পন চৌধুরী ( অনুপম) এম, মছব্বির আলী, (দৈনিক খবর ও খবর গ্রুপ), মূয়ীনুর রহমান চৌঃ, আজকের সিলেট,সফিকুল হাসান সোহেল (আজকের কাগজ) রাজানুর রহিম ইফতেখার ( দৈনিক সংগ্রাম) প্রমুখ।

পরবর্তীতে কুলাউড়া থেকে সাপ্তাহিক মানব ঠিকানা, কুলাউড়ার ডাক,হাকালুকি, সীমান্তের ডাক ও সাপ্তাহিক কুলাউড়ার সংলাপ ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হওয়ায় অনেকেই সাংবাদিকতায় সম্পৃক্ত হয়ে কুলাউড়ার সাংবাদিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করেছেন। সাপ্তাহিক পাতাকু্ঁড়ির দেশ পত্রিকার মাধ্যমে শুরুটা হলেও পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে দৈনিক সিলেট বানী,সিলেট পরিক্রমা, দৈনিক কাজির বাজার ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত তদন্ত রিপোর্ট, গোয়েন্দা রিপোর্ট সহ অনেক দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এছাড়া কুলাউড়া থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক হাকালুকি ও কুলাউড়ার ডাক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেছি দীর্ঘদিন। এছাড়া ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় সাপ্তাহিক অর্থকাল এর সহকারী সম্পাদক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছি।দীর্ঘ পথ চলায় সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে লুকিয়ে থাকা অনিয়ম দুর্নীতি সহ নানা অপরাধ সম্পর্কে দেশ জাতি ও প্রসাশনের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কুলাউড়ার যানজট সমস্যা সহ জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছি।

একাধিক ক্রাইম নিউজ করার কারনে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হুমকি পর্যন্ত আমাকে দেয়া হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে সাংবাদিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও ক্রাইম নিউজের সংখ্যা কমছে। একজন একটা নিউজ করলে সেটাকে কাঠ চাট করে কপি পেস্ট করেই সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রাইম নিউজ না করার পিছনে প্রসাশন ও প্রভাবশালী মহলের সাথে সাংবাদিকদের গভীর সখ্যতাও একটি বড় কারন। সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য বেড়ে যাওয়ায় অাগের মতো এখন আর সাংবাদিককতায় ফুলটাইম সময় দিতে না পারলেও সাংবাদিকতা ছেড়ে দেইনি। জীবনের প্রথম পেশা সাংবাদিকতাকে কোন দিনই বিদায় জানানো সম্ভব নয়। এখনো সামান্য সময় পেলে লিখতে বসি, চোখের সামনে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখি। প্রকাশিত হয় বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালে। আমার সাংবাদিকতার এই দুই যুগে যে বা যারা বিভিন্ন ভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমি তাদের কাছে ঋণী। সকলের আন্তরিক সহযোগিতাই আমার আগামী দিনের পথ চলার প্রত্যয়।

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।