স্বপন মাহমুদ,সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি :
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস যেন দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নানা অযুহাতে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মসহ গ্রাহক হয়রানি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগের নামে তারা নানা ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। টাকা দিয়েও হয়রানীর শিকার হচ্ছে সাধারন বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা মিটার রিডিং না লিখে, অন্য লোকদের বেতন দিয়ে মিটার রিডিং লেখার কাজ করান বলেও অভিযোগ রয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের বারইপটল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএম গোলাম মোস্তফার স্ত্রী রওশনআরা বেগম পল্লী বিদ্যুতের একজন সেচ গ্রাহক। তিনি ২০১৯ সালে ৩৫০ ফুট দুর থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে সেচপাস্প চালিয়ে আসছেন। এর হিসাব নাম্বার৫৬/১৫৬০। এরপর তার সেচপাম্পের নিকট খুঁটি থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আবেদন করেন সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএমের কাছে। এ সংযোগ দিতে লাইন স্থানান্তরের জন্য ২০ হাজার ৩৯৫ টাকা দাবি করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। পরে ওই টাকা পল্লী বিদ্যুতের রশিদের মাধ্যমে ক্যাশিয়ার নার্গিস সুলতানার কাছে জমা করেন বিদ্যুৎ গ্রাহক রওশনআরা বেগম। এই বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আরও ৫ হাজার টাকা দাবি করে পল্লী বিদ্যুতে কর্মচারি হিসেবে একজন দালাল। তিনি বলেন ডিজিএমকে না দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া যাবে না। এতে ১ হাজার টাকা দেন রওশনআরার স্বামী গোলাম মোস্তফা। এরপর গোলাম মোস্তফা জানতে পারে তার কাছ থেকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস অতিরিক্ত ১৮ হাজার ৮৯৫ টাকা নিয়েছে। এরপর ২০২১সালের ২২আগষ্ট সংযোগ দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা জানান, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস লাইন স্থানান্তরের জন্য ১ হাজার ৫০০ ও ট্রান্সফরমা স্থাপনের নামে অতিরিক্ত ১৮ হাজার ৮৯৫ টাকাসহ মোট ২০ হাজার ৩৯৫ টাকা দাবি করেন। পরে এ টাকা পল্লী বিদ্যুতের রশিদের মাধ্যমে জমা করা হয়। তিনি আরোও বলেন, কয়াকদিন হলো পুরাতন ট্রান্সফরমা থেকে সংযোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমি যে টাকা জমা দিয়েছি সেটা দিয়ে তারা কি কাজ করেছেন।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম শিফাজ উদ্দিন মল্লিক জানান, গত ২২আগস্ট তার সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে আবেদন ফি ছিলো ১হাজার ৫০০টাকা। বিদ্যুৎ লাইন স্থানান্তরের জন্য অতিরিক্ত ১৮ হাজার ৮৯৫ টাকা জমা নেয়া হয়েছে। গ্রাহক সে টাকা ফেরত চেয়ে আবেদন করলে ওই টাকা ফেরত দেয়া হবে।
Leave a Reply